ঢাকা,শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

চকরিয়ায় সামাজিক বনায়নের ভেতর থেকে বালু উত্তোলন, অভিযানে লাপাত্তা জড়িতরা!

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::  কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের চকরিয়ায় সামাজিক বনায়নে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে বন বিভাগ। বৃহস্পতিবার সকালে ফুলছড়ী রেঞ্জের খুটাখালী বিট আওতাধীন পাগলিরবিল বুইজ্জার ঝিড়ি নামক এলাকায় এ অভিযান চলে।

বনবিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরকার কর্তৃক ২০১১-১২ সনে পঞ্চাশ একর বিশিষ্ট একটি সামাজিক বনায়ন বরাদ্দ দেয় মুক্তিযুদ্ধাদের। প্রতিজন মুক্তিযোদ্ধা এক একর করে বনভূমিতে গাছ লাগিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করার কথা রয়েছে। সম্প্রতি এ সামাজিক বনায়ন থেকে পার্শ্ববর্তী নতুন পাড়া এলাকার আলী আহমদ গং এর নেতৃত্বে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের খবর পায় বনবিভাগের লোকজন। এদিন কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ডিএফও’র নির্দেশে ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা ছৈয়দ আবু জাকারিয়ার নেতৃত্বে খুটাখালী বিট কর্মকর্তা রেজাউল করিম ও হেডম্যান ভিলেজার সহ অভিযান চালায়। তবে অভিযানের অগ্রিম খবর পাওয়ায় ড্রেজার মেশিন সরিয়ে ফেলা হয়েছে এবং জড়িতরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।

উপকারভোগীদের একজন মুক্তিযোদ্ধা জানিয়েছেন, সরকার প্রদত্ত এ বনায়ন থেকে অন্য কোন ব্যবসায়ীদের বালু উত্তোলনের সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। তাই তারা আমাদের সাথে ষড়যন্ত্র শুরু করছে। তারা জনসম্মুখে আমাদেরকে গালিগালাজ করে বেড়াচ্ছে। বালু উত্তোলন বিষয়ে তিনি আরো বলেন, উল্লেখিত আলী আহমদের সাথে আমাদের লিখিত চুক্তিনামা হয়েছে। সে আমাদের অজান্তে বা কোনপ্রকার অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে না।

ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা ছৈয়দ আবু জাকারিয়া বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সামাজিক বনায়নে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের খাবর পাওয়া যায়। তখনই ডিএফও সাহেবের নির্দেশে বনবিভাগের লোকজন সহকারে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে সামাজিক বনায়নে বালুর বিশালাকার একটি স্তুপ পাওয়া গেছে। তবে ঘটনাস্থলে কোন মেশিন ও জড়িতদের পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে জড়িতদের আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।##

পাঠকের মতামত: