ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

খুটাখালী কিশলয় স্কুলের খেলার মাঠটি ভূমিদস্যুদের দখলে!

মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া ::  চকরিয়া উপজেলার শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুটাখালী কিশলয় আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের একমাত্র খেলার মাঠটি দখলে নিচ্ছে ভূমিদস্যুরা। মাঠের এক তৃতীয়াংশ জায়গা জবর দখলে নেওয়ায় তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
জানা গেছে, ১৯৮০ সালে কিশলয় স্কুল প্রতিষ্টার পর তৎকালীন প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব চৌধুরী মুহাম্মদ তৈয়ব অক্লান্ত পরিশ্রমে স্কুলের নামে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য ইউনিয়নের লম্বাতলী এলাকায় এক খন্ড জমি মাঠ হিসাবে উপযোগি করে তুলেন। এরপর থেকে স্কুল শিক্ষার্থীরা ও এলাকার সকলে মাঠটিতে ফুটবল খেলার আসর জমায়। এ মাঠে ফুটবল ও ক্রিকের আনন্দে মেতে উঠে খুটাখালী ইউনিয়নের ক্রীড়ামোদীরা। আজ যারা কিশলয় স্কুল থেকে পাশ করে দেশ-বিদেশে উন্নত স্থরে আসন লাভ করেছে তাদেরও স্মৃতিতে মিশে আছে এ মাঠটি।
কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে এ মাঠ দখল করে চতুর্দিকে নির্মাণ করেছে বসতবাড়ী। অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে অন্তত ডজনাধিক বাড়িঘর। ওই এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র মাঠ দখল করে অংশ আকারে বিক্রি করে দিয়েছে তাদের মাঝে। এমনই অভিযোগ সচেতন মহলের। বর্তমানে এ খেলের মাঠ উদ্ধার কল্পে সোচ্চার হচ্ছে স্থানীয় জনসাধারণ।
প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অনেকের অভিমত, প্রধান শিক্ষক চৌধুরী মুহাম্মদ তৈয়ব এ প্রতিষ্ঠান থেকে আড়াল হওয়ার পর হারিয়ে যেতে বসেছে এসব সম্পদ। দীর্ঘ কয়েক যুগের ঐতিহ্যবাহী এ খেলার মাঠ দখলকালে কোনপ্রকার প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি জনপ্রতিনিধিসহ স্কুল প্রতিষ্টানের লোকজনের।
স্থানীয় যুবলীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম মিটু বলেন, যুবসমাজ ধ্বংসের হাত থেকে অন্যতম উপায় হলো খেলাধুলা। কিশলয় স্কুলের খেলার এ মাঠটি এভাবে দখল হয়ে গেলে অচিরেই খেলাধুলার সুযোগ হারাবে খুটাখালীর ছাত্র ও যুব সমাজ। বিলিন হয়ে যাবে কিশলয় স্কুলের ঐতিহ্যবাহী পাহাড়িকা স্টেডিয়াম।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, সবার প্রিয় খেলার মাঠটি দখলদারদের উচ্ছেদ করতে ইতিপূর্বে প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। তাতে ফলাফল শুন্যই থেকে যায়। স্কুল কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কখনো কার্যকরী পদক্ষেপও হাতে নেননি।
এ ব্যাপারে কিশলয় আদর্শ শিক্ষা নিকেতন পরিচালনা কমিটি ও ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন জানান, এ বিষয়টি ইতিপূর্বে আমার জানা ছিল না। পরিচালনা কমিটির আগামী মিটিংয়ে এ নিয়ে আলোচনা উত্তাপন করা হবে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরিজ খোঁজখবর নিয়ে দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: