ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

চকরিয়ার নতুন ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ

জে.জাহেদ, চট্টগ্রাম ::  চকরিয়া উপজেলার নতুন নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে পদায়িত হলেন সৈয়দ শামসুল তাবরীজ।

গতকাল ২৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রন্জন সাহা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দেয়া হয়।

 একই আদেশে চকরিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমানকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় বদলি করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জানুয়ারি ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজকে কর্ণফুলী উপজেলা থেকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় বদলির আদেশ দেওয়া হয়।

এর তিন পর ২৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রন্জন সাহা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ওই আদেশ বাতিল করে নতুন কর্মস্থলে পদায়ন করেন।

উল্লেখ্য, চকরিয়ার নতুন ইউএনও ৩০তম বিসিএস (প্রশাসন) কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ এর নিজ জেলা ফেনী। এর পূর্বে তিনি খাগড়াছড়ির পার্বত্য জেলার সদর ও কর্ণফুলী উপজেলায় ইউএনও হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁহার সহধর্মিণী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের প্রথম সহকারী মহিলা প্রক্টর অধ্যাপক মরিয়ম ইসলাম লিজা।

জানা যায়, সৈয়দ শামসুল তাবরীজ কর্ণফুলী উপজেলায় তৃতীয় ইউএনও হিসেবে যোগদান করে অল্প সময়ে সাধারণ মানুষের খুব কাছাকাছি ও আস্থা অর্জন করেছিলেন। কেননা তিনি নিজেকে সরকারি কর্মকর্তায় আবদ্ধ না রেখে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছিলেন।

সরকারি উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি প্রচার বিমূখ এই অফিসারের বহু মানবিক গুন রয়েছে। কর্ণফুলী উপজেলার হতদরিদ্র পরিবারের মেধাবী সন্তানদের নিজ বেতনের টাকা দিয়ে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ করিয়ে দেওয়া। ২০১৯ সালের ১লা এপ্রিল চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী অন্ধ মহিলা দেলোয়ারা বেগমকে ব্যক্তিগত বেতন থেকে ভাঙাঘর সংস্কার করার জন্য ৩ বান্ডিল ঢেউটিন ও নগদ ১০ হাজার টাকা দিয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান।

এছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসাসহ পুরা উপজেলার ৪৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজ খরচে কেক বিতরণ। এমনকি গত আগস্ট মাসের শেষের দিকে ব্যক্তিগত খরচে উপজেলার প্রায় ৪’শত এতিম শিশুদের নিয়ে এক বেলা ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা। গত রমজান মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কথা চিন্তা করে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে লাগাতার ভ্রাম্যমান আদালত চালিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সহনশীল রাখায় সাধারণ মানুষের খুব প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন।

পাঠকের মতামত: