ঢাকা,শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

সেন্টমার্টিন রুটে ৮টি জাহাজকে সতর্ক করলেন প্রশাসন

জসিম মাহমুদ, টেকনাফ ::
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে চলাচলকারী ৮টি পযটকবাহী জাহাজকে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় থেকে বিরত থাকার জন্য জাহাজ কতৃপক্ষকে সতর্ক করলেন উপজেলা প্রশাসন।

গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলার হ্নীলার দমদমিয়া (বিআইডব্লিউটিএ) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কতৃপক্ষ নৌবন্দরে এ বৈঠক অনুষ্টিত হয়েছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবুল মনসুর, থানা পুলিশ পরিদশক(তদন্ত) এবিএমএস দোহা,(অপারেশন) কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম খান, নৌ-পুলিশের(ওসি)মো. আবদুল্লাহ, নৌবন্দরের ট্রপিক কমকতা জহির উদ্দিন ভূইয়া, অপারেটর মো. জাহাঙ্গীর আলম, কেয়ারি সিন্দাবাদের মো. শাহ আলম, এমভি গ্রীনলাইন-১ মোহাম্মদ সোহরাব ও ইজারাদারের উসুল আদায়কারী মোহাম্মদ ফারুক প্রমূখ।
সূত্র জানায়,গত ১ নভেম্বর থেকে কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন,আটলান্টিক ক্রুজ, এমভি ফারহান,কেয়ারি সিন্দাবাদ,এমভি দোয়েল, গ্রীণ-লাইন-১,বে-ক্রুজ ও এমভি পারিজাত নামে ৮টি জাহাজকে আগামী বছরের ৩০মার্চ পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এমভি শহীদ সালাম নামে আরও একটি জাহাজ অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছেন।
জাহাজ কতৃপক্ষের একজন বলেন, পর্যটকের যানমাল ও নিরাপত্তা সুব্যবস্থা নিশ্চিত করার পাশাপাশি যেকোনো ধরনের র্দূঘটনা প্রতিরোধে এ সভা করা হয়েছে। জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও ধারণক্ষমতার অনুযায়ী লাইফ জ্যাকেট রাখার জন্য নিদেশ দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয় নিশ্চিত করার জন্য সর্তক করা হয়েছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)মো. আবুল মনসুর বলেন, পর্যটকদের যানমাল ও নিরাপত্তা সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা সকলের দায়িত্ব। তবে কিছু জাহাজ অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিটি জাহাজের ধারণ ক্ষমতার অনুসারে লাইফ জ্যাকেট রাখার জন্য জাহাজ কতৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে সর্তক করা হয়েছে। এ নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: