ঢাকা,সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

জমি নেই তবু জমিদারি! তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আদালতের নির্দেশ

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ঘুনিয়া এলাকার মৃত আবদুল খালেকের ছেলে লোকমান। প্রায় ১২ বছর আগে পরিবার সদস্যদের নিয়ে আশ্রয় নেন বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায়। এরপর সেখানে তিনি অল্প পাহাড়ি জমি কিনে বসতি গড়ে তুলেন ২৮৮ নং আলীকদম মৌজার পুর্বপালং পাড়া আমতলী এলাকায়।

স্থানীয় সুত্রে অভিযোগ উঠেছে, লোকমান আলীকদম যাওয়ার পরে তাঁর নিজনামে কিংবা বাবা আবদুল খালেকের নামে প্রশাসনের রেকর্ডপত্রে বৈধ কোন জমি নেই। কিন্তু ১২ বছর সময়ের ব্যবধানে তিনি এখন বেসুমার সম্পদের মালিক। হয়েছেন লাখপতি। সম্পদ আর টাকার প্রভাবে লোকমান এখন ওই এলাকার দাপটশালী ব্যক্তি। তিনি এখন সেখানে ধরাকে সরাজ্ঞান করছেন।

এলাকাবাসির অভিযোগ, কতিপয় জালিয়াত চক্রের যোগসাজসে ইতোমধ্যে লোকজন অন্তত ১২-১৪ জন স্থানীয় দরিদ মানুষের জমি-জমা নিজের নামে করে নিয়েছেন। অনেকের জায়গা দখল করে তিনি গাছপালা কেটে লুটে নিয়েছেন। এভাবে গেল বার বছরে লোকমান হয়ে উঠেছে পাহাড়ি জনপদের মানুষের কাছে একটি মুর্তিমান আতঙ্ক। তাঁর অপকর্মে কেউ প্রতিবাদ করলে বা জমি দখলে বাঁধা দিলে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রাণি করা হচ্ছে। এতে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ তাঁর ভয়ে প্রতিনিয়ত তটস্থ রয়েছেন।

ভুক্তভোগী অনেকে ভয়ে নিশ্চুপ থাকলেও অবশ্য ইতোমধ্যে মাসুক আহমদ নামের একজন অবশ্য অভিযুক্ত লোকমানের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। ক্রয়কৃত জমি দখলের অভিযোগে ইতোমধ্যে বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে একটি এমআর মামলা (১১০/১৯) দায়ের করেছেন তিনি। বাদি মাসুক আহমদ আলীকদম উপজেলার আমতলীস্থ পুর্বপালং গ্রামের মৃত আবু ছৈয়দের ছেলে।

বাদির নালিশী অভিযোগটি আমলে নিয়ে গত ১ অক্টোবর শুনানী শেষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতের বিচারক উল্লেখিত বিরোধীয় জমির বিষয়ে তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দিতে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আদালত উল্লেখিত জায়গায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষাকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আলীকদম থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। #

পাঠকের মতামত: