ঢাকা,শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

চাকসু নির্বাচন নীতিমালা পর্যালোচনায় কমিটি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ::   চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন দেওয়ার লক্ষ্যে নীতিমালা পর্যালোচনা কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহসপতিবার দুপুরে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শফিউল আলমকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের নীতিমালা পর্যালোচনা কমিটি ঘোষণা করেন উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ বি এম আবু নোমান, লোকপ্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আমীর মোহাম্মাদ নসরুল্লাহ এবং সদস্য সচিব নির্বাচন শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফ ও সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র।

জানা যায়, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ দ্রুত সময়ের মধ্যে চাকসু নির্বাচন দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এর পর থেকে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন দপ্তর থেকেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চাকসু নির্বাচন দিতে বলা হচ্ছে। সে লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাকসু নির্বাচন দিতে কাজ করছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, যেহেতু ২৯ বছর আগে চাকসু নির্বাচন হয়েছে, তাই নতুন গঠিত নীতিমালা কমিটি পুরনো নীতিমালাগুলো পর্যালোচনা করে যুগোপযোগী বিশেষ করে ডাকসু নির্বাচনের নীতিমালাগুলো পর্যালোচনা করে একটি নীতিমালা দেবে। এর পর সিন্ডিকেটে এসব নীতিমালা পেশ করা হবে। তবে এ নীতিমালা কমিটিকে কত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে তা বলা হয়নি।

এদিকে পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষার পরিবেশ ও ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান যাতে নিশ্চিত থাকে এ বিষয়ে আলোচনায় বসবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যদি মনে করা হয় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হয়েছে তাহলে তফসিল ঘোষণা করা হবে এবং যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে উপাচার্য ড. ইফেতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বুধবার প্রভোস্ট কমিটির সভায় নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি চাকসু নির্বাচন দেব। তবে চাকসুর যে নীতিমালা রয়েছে সেটিকে সংশোধন ও যুগোপযোগী করতে হবে। ডাকসুর নীতিমালা সংগ্রহ করব। চাকসুর যে নীতিমালা রয়েছে সেটি সংশোধন করে নতুন নীতিমালা গঠন করার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

হঠাৎ করে চাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের এ পদক্ষেপ কেন জানতে চাইলে ড. ইফতেখার বলেন, ‘নেতৃত্ব বিকাশে ছাত্র সংসদের বিকল্প নেই। এ ছাড়া বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনেরও দীর্ঘদিনের দাবি ছিল চাকসু নির্বাচন। আমিও ব্যক্তিগতভাবে মনে করি চাকসু নির্বাচন হওয়া উচিত। বিশেষ করে সম্প্রতি তথ্যমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে দ্রুত সময়ের মধ্যে চাকসু নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেছেন।’

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় হল প্রশাসন আবাসিক শিক্ষার্থী ও অনাবাসিকসহ অবৈধভাবে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি করছে। এ তালিকা তৈরি করার পরই জানা যাবে কোন হলে কতজন শিক্ষার্থী রয়েছেন এবং কতজন নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

পাঠকের মতামত: