ঢাকা,মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

অস্তিত্বহীন সংস্থা-সংগঠনের নামে সমাজসেবার অনুদান

takaকক্সবাজার প্রতিনিধি :::
কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদ নামের সংগঠনটি সমাজসেবা অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয় থেকে নিবন্ধন পায় ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী।

নিবন্ধনের পর থেকে শনিবার পর্যন্ত সরকারী কিংবা বেসরকারী বৈধ কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কোন অডিট করা হয়নি। সমাজসেবা অফিসে জমা দেয়া হয়নি বার্ষিক আয়-ব্যায়ের হিসাবও।

নেই অনুমোদিত অফিস ও কার্যকরী কোন কমিটিও। এরপরও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে দেয়া অনুদানের মধ্যে ওই সংগঠনকেও ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়। একই অবস্থা অনুদান পাওয়া আল ইহসান নামের আরেক সংগঠনেরও।

এ সংগঠনের কার্যালয় কক্সবাজার শহরের পুরাতন জেলা খানা রোড উল্লেখ থাকলেও গত দুই দিনের অনুসন্ধানে কোন অস্থিত্বও পাওয়া যায়নি। শুধু এ দুই সংগঠনই নয়, সরকারী এ অনুদান পেয়েছেন নামে-বেনামে গড়ে উঠা একাধিক সংগঠন। থুধু তাই নয়, প্রতিষ্ঠিত একটি এনজিওকেও দেয়া হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অনুদান।

গত ১০ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ অনুদানের চেকগুলো বিতরণ করেন সমাজসেবা অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়। অথচ ১৯৬১ সালের স্বেচ্ছামুলক সমাজকল্যাণ প্রতিষ্ঠান ( রেজি: ও নিয়ন্ত্রণ ) অধ্যাদেশ এর ৭নং ধারা অনুযায়ী

বার্ষিক রিপোর্ট ও অডিট রিপোর্ট সাধারণ পরিষদের অনুমোদনক্রমে যথাক্রমে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারী ও সেপ্টম্বর মাসের মধ্যে স্থানীয় সমাজসেবা র্কাালয় ও উপ-পরিচালক জেলা সমাজসেবা র্কাযালয় বরাবরে প্রেরণ করিতে হইবে ও নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রতি জানুয়ারী মাসের ২০ তারিখের মধ্যে নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষের নিকট বার্ষিক প্রতিবেদন এবং পরীক্ষিত হিসাব অবশ্যই দাখিল করিতে হইবে এবং তা সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করবে।

অভিযোগ উঠেছে, সমাজসেবা অধিদপ্তরের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী কমিশনের বিনিময়ে অস্থিত্বহীন সংগঠনকে সরকারী এ অনুদানের সুবিধা দেয়া হয়েছে।

সমাজসেবা অধিদপ্তর সুত্র জানায়, ১০ ফেব্রুয়ারী ১৯ টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বার্ষিক অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়। অনুদান পাওয়া সংগঠনগুলো হল-নোঙ্গরকে ১৫ হাজার টাকা, জেলা উপকূলীয় এলাকা পল্লী উন্নয়ন পরিষদকে ১০ হাজার টাকা, ঝংকার শিল্পী গোষ্ঠীকে ১৫ হাজার টাকা, অর্ণব কক্সবাজারকে ১৫ হাজার টাকা, মুক্তি কক্সবাজারকে ১৫ হাজার টাকা, সমাজসেবা কর্মচারী কণ্যাণ পরিষদকে ১৫ হাজার টাকা, কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদকে ১০ হাজার টাকা, আছমা বিনতে আবু বক্কর(রা:)গার্লস ওয়েল ফেয়ারকমপেন্ডক্সকে ১৫ হাজার টাকা,এক্সপাউরুলকে ২৫ হাজার টাকা, গ্রীণ কক্সবাজার স্বাস্য ও পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনকে ১৫ হাজার টাকা, দু:স্থ মানব কল্যাণ ও পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থাকে ১০ হাজার টাকা, কক্সবাজার জেলা সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদকে ১০ হাজার টাকা, আল ইহসানকে ১৫ হাজার টাকা, গোলদীঘির পাড় সমাজ কল্যাণ পরিষদকে ১০ হাজার টাকা, কক্সবাজার জেলা কালেক্টরেট ৪থ শ্রের্ণী কর্মচারী সমিতিকে ১০ হাজার টাকা, বৃহত্তর পাহাড়তলী সমিতিকে ১৫ হাজার টাকা, দিবাকে ১০ হাজার টাকা, স্বপ্নের সিড়িকে ১৫ হাজার টাকা ও বাহারছড়া নব জাগরণ সমিতিকে ১৫ হাজার টাকা।

এ প্রসঙ্গে সমাজসেবা অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক প্রীতম কুমার বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি শহর সমাজেসেবা কর্মকতৃাকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

 

পাঠকের মতামত: