ঢাকা,মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

কয়েকটি কারণে বাজার এখন নিম্নমুখী

চালের দাম কমছে

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
দীর্ঘদিন উত্তাপ ছড়ানোর পর অবশেষে পাইকারিতে কমতে শুরু করেছে চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের চালের দাম বস্তায় সর্বোচ্চ ১০০ টাকা কমেছে। চালের আড়তদাররা বলছেন, বাজারে সম্প্রতি চালের সরবরাহ বেড়েছে। সেই অনুযায়ী বেচাবিক্রি কমে গেছে। এছাড়া সামনে আসছে নতুন ধানের মৌসুম। আবার ক’দিন পরে শুরু হচ্ছে রমজান। রমজানে ভাত খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। সবকিছু মিলিয়ে বাজার এখন নিম্নমুখী।

নগরীর চালের আড়ত চাক্তাইয়ের চালপট্টি ও পাহাড়তলীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ কেজি ওজনের চালের বস্তায় দাম কমেছে সর্বনিম্ন ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। কেবল স্থিতিশীল রয়েছে বেতি আতপ ও মোটা সিদ্ধ চালের দাম।

চালের আড়তদাররা জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে জিরাশাইল সিদ্ধ বস্তায় ১০০ টাকা কমে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকায়। মিনিকেট সিদ্ধ ১০০ টাকা কমে ২ হাজার ৪০০ টাকা, পাইজাম সিদ্ধ বস্তায় ৫০ টাকা কমে ২ হাজার ১৫০ টাকা, কাটারিভোগ সিদ্ধ ১০০ কমে গিয়ে ৩ হাজার ১০০ টাকা, কাটারিভোগ আতপ বস্তাপ্রতি ৫০ টাকা কমে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৩৫০ টাকা, মিনিকেট আতপ ১০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ টাকা, পাইজাম আতপ ৫০ টাকা কমে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ টাকা এবং স্বর্ণা সিদ্ধ ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ টাকায়।
অন্যদিকে অপরিবর্তিত আছে বেতি আতপ ও মোটা সিদ্ধ চালের দাম। বর্তমানে বেতি আতপ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪৫০ টাকা ও মোটা সিদ্ধ চাল ১ হাজার ৯০০ টাকা।

পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম নিজাম উদ্দিন বলেন, চালের বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। এখন দাম কিছুটা নিম্নমুখী। সামনে নতুন ধান এলে দাম আরো পড়ে যাবে।

চট্টগ্রাম রাইচ মিলস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিক উল্লাহ বলেন, চালের বাজার গত এক সপ্তাহ ধরে নিম্নমুখী। বস্তায় সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

এছাড়া বর্তমানে বাজারে চালের সরবরাহ বাড়লেও বিক্রি কম। এছাড়া সামনে কৃষকের ঘরে নতুন ধান উঠবে। তাই মিলাররাও চালের সরবরাহ বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর প্রভাবে বাজার কমছে।

পাঠকের মতামত: