ঢাকা,বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

খামারীকে ক্রেস্ট উপহার

চকরিয়ায় প্রাণীসম্পদ বিভাগের দিনব্যাপী প্রদর্শনী উদ্বোধনে এমপি জাফর

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগের আয়োজনে ব্যাপক উদ্দিপনার মধ্যদিয়ে প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী মেলা ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে চকরিয়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী প্রদর্শনী মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধান অতিথি চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার-১) আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম।

চকরিয়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা.সুপন নন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুট্টু, উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম জাহাংগীর আলম, সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক আবু মুছা, সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মোক্তার আহমদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা, বিভিন্ন খামারী, উদ্যোক্তা, সাংবাদিক ও সুধীজন। অনুষ্ঠিত প্রদর্শনী মেলায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন জাতের পশুপাখী নিয়ে ২১টি স্টল অংশগ্রহন করেন। পরে উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের উদ্যোগে উপজেলার শ্রেষ্ট খামারী, সফল খামার উদ্যোক্তাদের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদ বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সাংসদ আলহাজ জাফর আলম বলেছেন, বর্তমানে মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে খাদ্যে সবধরণের ভেজাল পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই ভেজাল পশুপাখী পালনেও বিদ্যমান অবস্থা চলছে। বিশেষ করে খামারীরা অতিলাভের আশায় ফার্মের মোরগসহ পশুপাখী পালনে বেশি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এই প্রবণতা থেকে সবাইকে সরে আসতে হবে। কারণ ফার্মের পশুপাখী মানুষের আমিষের ঘাটতি পুরণ করতে পারেনা।

তিনি বলেন, মানুষের চাহিদা মোতাবেক আমিষের ঘাটতি পুরণ করতে হলে খামারী উদ্যোক্তা সবাইকে দেশীজাতের পশুপাখী পালনে নতুন নতুন খামার গড়তে হবে। এই ক্ষেত্রে প্রাণীসম্পদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, নতুন নতুন খামার গড়ার মধ্যদিয়ে যেমন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বদলে যাবে, তেমনি খাদ্যে ভেজাল করার প্রবণতাও উঠে যাবে। তিনি খামারী ও উদ্যোক্তাদের ভালোমানের ও সুষ্ঠ সবল পশুপাখী পালনে উৎসাহিত করেন।

পাঠকের মতামত: