ঢাকা,সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

৩১০ পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনে প্রথম জাহাজ

টেকনাফ প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের পর্যটন স্পট প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে এ মৌসুমে পর্যটক যাতায়াত আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফ থেকে জাহাজ কেয়ারী ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন ৩১০ জন যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাহাজটি সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছায়। এ সময় ওই জাহাজে থাকা পর্যটকদের ফুল দিয়ে বরণ করেন সেন্টমার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান নূর আহম্মদ।

তিনি বলেন, জাহাজ চলাচলের খবরে দ্বীপের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। কিন্তু পর্যটন মৌসুমের অনেক সময় চলে যাওয়ায় তাদের মাঝে হতাশাও বিরাজ করছে।

সূত্র জানায়, সেন্টমার্টিন দ্বীপের একমাত্র জেটিটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় মৌসুম শুরু হওয়ার দেড় মাস হয়ে গেলেও সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু করা যায়নি। এতে অনিশ্চয়তায় পড়ে সেন্টমার্টিনে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করা ব্যবসায়ীরা। পর্যটন সংশ্লিষ্টদের তদবিরে প্রশাসনের তদারকিতে ভঙ্গুর জেটিটি সংস্কার করা হচ্ছিল পক্ষকাল ধরে। এটি মোটামুটি চলাচল উপযোগী করতে পারায় মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এই মৌসুমের প্রথম জাহাজ যাত্রা শুরু হয়েছে। এদিন পর্যটকরা নিরাপদ যাতায়াত করতে সক্ষম হলে বাকি জাহাজগুলোও পর্যটক সেবায় চলাচল করবে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এ বছর সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে চলাচলের অনুমতির জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসনে আবেদন করেছে পারিজাত, ফারহান, রাজহংস, সুকান্ত বাবু, কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন নামে ছয়টি জাহাজ। যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সমস্ত ডকুমেন্টস জেলা প্রশাসনে আবেদনের সঙ্গে জমা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার প্রথম জাহাজ ভালো মতো ফেরত আসলে বাকিরা চলাচলের অনুমতি পাবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ জানান, দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে নতুন জেটি নির্মাণে বেগ পেতে হচ্ছে। তাই আপাতত আগের জেটিটি প্রাথমিকভাবে মেরামত করা হয়েছে। এখন ব্যবহার উপযোগী হওয়ায় জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।

পর্যটনের দায়িত্বপ্রাপ্ত (এডিএম) অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারী ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয়েছে। অবস্থা বুঝে আবেদনকৃত জাহাজগুলোকে পর্যায়ক্রমে অনুমতি দেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: