ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

চকরিয়া কোনাখালীতে নির্বাচন বানচাঁলের চেষ্ঠার অভিযোগ: আতঙ্কে কর্মী-সমর্থক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউপি নির্বাচন ঘিরে প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উদ্বেগ-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীকে ঘায়েল করতে অপর প্রার্থীর পক্ষথেকে সাজানো হচ্ছে নিছক কাল্পনিক ঘটনা। আর এসব ঘটনাকে পুঁিজ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে একপক্ষ অপরপক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগও দিচ্ছে। পাশাপাশি সাজানো ঘটনাকে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ছাড়াও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব ঘটনার জেরে কোনাখালীতে নির্বাচনী সংঘাতের আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোনাখালী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী দিদারুল হক সিকদার। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে কোনাখালীতে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে তর্কাতকির ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন কর্মী আহত হয়। আর এই ঘটনাকে ভিন্নভাবে প্রবাহিত করতে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজন উল্টো ঘটনার দায় আমার কর্মী-সমর্থকদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। অথচ ওইদিনের ঘটনায় আমার কোন কর্মী-সমর্থক ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না।

তিনি বলেন, উল্টো কাল্পনিক ঘটনার জেরে আমার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে তাঁরা। আর ওই ঘটনাকে পুঁিজ করে তাঁরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ছাড়াও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এইধরণের অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি এইধরণের পরিকল্পিত ঘটনার বিপক্ষে। মুলত নৌকার প্রার্থী জাফর আলম ছিদ্দিকী একজন অপরিচিত মুখ। অতীতে তিনি কোন সময় জনগনের কাছে আসেনি। তাই জনগন তাঁর কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এই অবস্থায় নৌকার প্রার্থী লোকজন নিশ্চিত পরাজয়ের আশঙ্কা থেকে তাঁরা কাল্পনিক ঘটনা তৈরী করে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মাঝে একধরণের ভয়ভীতি ছড়িয়ে দিচ্ছে। যাতে তাঁরা খালি মাঠে গোল দিতে পারে।

চেয়ারম্যান প্রার্থী দিদারুল হক সিকদার বলেন, আমি দশবছর ধরে কোনাখালী ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষের সু:খ দু:খে পাশে ছিলাম। জনগনের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছি। সরকারের উন্নয়ন এবং সবধরণের সেবা জনগনের দরজায় পৌঁছে দিয়েছি। ইনশাল্লাহ কোনাখালীবাসি আমার সঙ্গে আছে। নৌকার প্রার্থী হোক বা প্রতিদ্বন্দ্বি অন্য যে কোন প্রার্থী হোক তাদের চক্রান্ত জনগন ভালো বুঝে। সেটি প্রমাণিত হবে আগামী ২৮ নভেম্বর ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে। তারপরর কোনাখালী ইউনিয়নে শান্তিপুর্ণ পরিবেশে একটি অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে আমি প্রশাসনের সর্বমহলের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।

 

পাঠকের মতামত: