ঢাকা,মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

আসামি গ্রেফতার: আদালতে স্বীকারোক্তি

চকরিয়ায় স্বামীর সন্ধান দেয়ার অজুহাতে ঢেকে নিয়ে চারজন মিলে গৃহবধুকে ধর্ষণ

 

 

গৃহবধুকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলার আসামি মো.তৌহিদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া

চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নে স্বামীর সন্ধান দেয়ার অজুহাতে বাড়ি থেকে ঢেকে নিয়ে গৃহবধুকে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ মামলার আসামি মো.তৌহিদকে (২০) গ্রেফতার করেছে। সোমবার রাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও হারবাং পুলিশ ফাঁিড়র পরিদর্শক মো.আজহারুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থেকে ওই আসামিকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামি তৌহিদ উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা সিকদারপাড়া গ্রামের নুর আলমের ছেলে।

এদিকে গ্রেফতারকৃত আসামি তৌহিদকে গতকাল বুধবার ২৯ সেপ্টেম্বর চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ওইসময় আসামি তৌহিদ স্বেচ্ছায় আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও হারবাং পুলিশ ফাঁিড়র পরিদর্শক মো.আজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, আদালতের কাছে গ্রেফতারকৃত আসামি তৌহিদ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে গৃহবধূকে ধষর্ণের ঘটনায় তাঁরা চারজন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। জবাবনবন্দি রের্কডের পর বিজ্ঞ আদালত আসামি তৌহিদকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

হারবাং পুলিশ ফাঁিড়র পরিদর্শক মো.আজহারুল ইসলাম বলেন, পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর মেহেরনামা এলাকার বাসিন্দা আবু তালেব পেশায় একজন কাঠমেস্ত্রী। জীবিকার তাগিদে তিনি চকরিয়া উপজেলার বরইতলীতে এসে ফার্নিসার দোকানে কাজ করতেন।

বাড়ি থেকে কাজে আসলেও চারদিন ধরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ ছিল পরিবারের। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রীসহ পরিবার সদস্যরা উৎকন্ঠায় ছিলেন। এই অবস্থায় ঘটনার দিন গত ২২ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে ভিকটিম ওই গৃহবধু পুর্ব পরিচয়ের সুবাধে স্বামীর খোঁেজ ফোন দেন আসামি আবদুল্লাহর মোবাইলে।

এসময় আসামি আবদুল্লাহ কৌশলে স্বামীকে খোঁজে দেবে প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে ঢেকে আনেন কাঠমেস্ত্রী আবু তালেবের স্ত্রীকে। এসময় স্বামীকে খোঁজ দেবার কথায় প্রায় চারঘন্টা বিভিন্নস্থানে তাকে নিয়ে ঘুরাফেরা করে। একপর্যায়ে রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা খালের চিতার পশ্চিমে কলাবাগানে নিয়ে ওই গৃহবধুকে জোরপুর্বক চারজন মিলে ধর্ষণ করে।

পুলিশ কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর রাত একটার দিকে ওই গৃহবধু ঘটনাস্থল থেকে ফিরে বাজারের নৈশপ্রহরীর সহায়তায় নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরদিন এ ঘটনায় ভিকটিম ওই গৃহবধু চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মুহাম্মদ যোবায়ের এর কাছে গিয়ে ঘটনার বিস্তারিত খুলে বলেন। এরপর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে ২৩ আগস্ট অভিযান চালিয়ে ধর্ষন ঘটনায় জড়িত আবদুল্লাহ ও এহেসান নামের দুই আসামিকে গ্রেফতার করি।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত দুই আসামিসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন ভিকটিম ওই গৃহবধু। পরে আদালতের মাধ্যমে দুই আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণ এবং ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টারে পাঠানো হয়। তিনি বলেন, সর্বশেষ মামলার আসামি তৌহিদকে গ্রেফতার করার মধ্যদিয়ে এই পর্যন্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এজাহারনামীয় অপর আসামি জিয়াউদ্দিনকে গ্রেফতারে জোর চেষ্ঠা চলছে।

 

পাঠকের মতামত: