নিজস্ব প্রতিবেদক :: চট্টগ্রাম ও ফেনীতে কর্মরত হাইওয়ে পুলিশের ১৫ সদস্যকে একযোগে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাবার পর পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বিকেলে ১৫ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ। তাদের কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘পুলিশ সদর দপ্তর থেকে একটি অভিযোগ তদন্তের জন্য সীতাকুণ্ডের কুমিরা এবং মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ১০ জন সদস্যকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনা মেনে গতকাল (বৃহস্পতিবার) ১০ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইভাবে ফেনীর ফাজিলপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পাঁচ সদস্যকেও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
কুমিরা ও জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের পাঁচজন করে সদস্য প্রত্যাহার করা হয়েছে। এদের মধ্যে আটজন কনস্টেবল, একজন এএসআই এবং একজন সার্জেন্ট। এদের মধ্যে সীতাকুণ্ডের পাঁচজনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন- সার্জেন্ট অপুল ঘোষ, কনস্টেবল মো. সোহেল, মো. ফারুক, মো. সরোয়ার ও মো. রেজাউল।
ফেনীর ফাজিলপুর হাইওয়ে পুলিশের প্রত্যাহার হওয়া ৫ জন করে সদস্যের নাম পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, গত ২৬ জুলাই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী একটি পিকআপ ভ্যান থেকে কুমিরা, জোরারগঞ্জ ও ফেনীর ফাজিলপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে তাদের প্রত্যাহারের আদেশ দেওয়া হয়। তবে অভিযোগের বিষয়ে অবগত নন বলে জানিয়েছেন এএসপি ফরহাদ।
পাঠকের মতামত: