নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: মৎস্য চাষে গড়বো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ” এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে জুলাই মাসের ১৮ তারিখ শুরু হওয়া জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের ২০১৯ সমাপনী অনুষ্ঠান গত মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সমাপ্ত হয়েছে। এদিন উপজেলার সরকারি ও শিক্ষাপ্রতিষ্টানসহ বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক জলাশয়ে বিনামুল্যে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মৎস্য পোনা অবমুক্ত করেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের সভাপতিত্বে মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী দিনে পোনা অবমুক্ত করন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুট্টু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার আমিনুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পোনা অবমুক্ত করন অনুষ্ঠাণে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত হোসেন, উপজেলা মৎস্য বিভাগের ক্ষেত্র সহকারি শহীদুল ইসলাম, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সরকারি ও সরকারি ও শিক্ষাপ্রতিষ্টানসহ বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক প্রধান এবং সুধীজন।
প্রসঙ্গত: জুলাই মাসের ১৮ তারিখ চকরিয়া উপজেলা জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলম। তিনি আলোচনা সভার আগে উপজেলা পরিষদ পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
মাছের পোনা অবমুক্ত করণ অনুষ্ঠানে চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী বলেছেন, চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলায় রয়েছে অমিত সম্ভাবনার মৎস্য ভান্ডার। হাজার হাজার একর আয়তনের এই মৎস্য ভান্ডারে উৎপাদিত মাছ স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে। তাঁর মাধ্যমে স্থানীয় প্রান্তিক চাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। পাশাপাশি মানুষের আমিষের চাহিদা মেটাচ্ছে আমাদের মৎস্য ভান্ডার।
তিনি বলেন, আমাদের বিশাল আয়তনের মৎস্য ভান্ডার থাকলেও অভাব আছে সুদুর প্রসারি পরিকল্পনা ও পরিকল্পিত চাষের। তাই প্রশিক্ষনের মাধ্যমে প্রান্তিক চাষীদেরকে দক্ষ করে তুলতে হবে। মৎস্য চাষীসহ চকরিয়া উপজেলাবাসির অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে আগামীতে সুদুর প্রসারি পরিকল্পনার মাধ্যমে গুনগতমান সম্পন্ন মৎস্য চাষ নিশ্চিত করতে হবে। সেইজন্য মৎস্য বিভাগকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। এতে আগামীতে চকরিয়া উপজেলার মৎস্য ভান্ডার থেকে বছরে শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে। ##
পাঠকের মতামত: