অনলাইন ডেস্ক :: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশের ‘স্বাস্থ্যখাতের মত’ বর্তমান সরকারও ‘লাইফসাপোর্টে’ আছে।
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে নয়া পল্টনে নয়া পল্টনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর আশু রোগমুক্তির কামনায় এই দোয়া মাহফিল হয়।
তিনি বলেন, “দেশের স্বাস্থ্যখাত এখন ভেন্টিলেশনে। সরকারও কিন্তু ভেন্টিলেশনের খুব একটা বাইরে না। ভেন্টিলেশনের যে একটা পাইপ থাকে, সেই টিউবটা খোলার লোক নাই। এটা খুললে কিন্তু যারা লাইফ সাপোর্টে থাকে, সাথে সাথে তার মৃত্যু ঘোষণা হয়।
“জনগণের সমর্থনহীন, ভোটারবিহীন ভোট ডাকাতের এই সরকার লাইফ সাপোর্টে ছাড়া অন্য কোনো সাপোর্টে থাকার কোনো সুযোগ নাই।”
গয়েশ্বরের ভাষায়, এই লাইফ সাপোর্ট খোলার দায়িত্ব যদি জনগণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয়, তাহলে সরকারের মেয়াদ আর খুব বেশি ‘থাকার কথা নয়’।
তাই সরকারবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন চেয়ে গয়েশ্বর বলেন, “আমি আশা করব, যাদের ওপর মানুষ খুব আশা-বিশ্বাস করে আছে, এই সরকারের আক্রমণ থেকে মানুষকে বাঁচানোর- আমরা সেদিকে মনোনিবেশ করি, যোগ দিই।
“আমাদের নিজস্ব প্রাপ্তির কথাগুলো আপাতত স্থগিত রাখি। আমরা গণতন্ত্র আনতে পারলে তার চেয়েছে বড় প্রাপ্তি আর কিছু নাই।”
সরকারের সমালোচনা করে এই বিএনপি নেতা বলেন, “আজকে দেশের মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এই ভাইরাসে আক্রান্ত কেউ অসুস্থ হচ্ছেন, কেউ আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তবে করোনার চেয়েও ভয়াবহ এই সরকার। তাদের হাতে দেশের সব লোক আক্রান্ত হচ্ছে, নির্যাতিত হচ্ছে।”
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর আশু রোগমুক্তির কামনায় এই দোয়া মাহফিল হয়।
পাঠকের মতামত: