ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

৭ই মার্চের আলোচনা সভা জনসমুদ্রে রূপান্তরিত

সময় থাকতে গ্রুপিং বাদ দিয়ে ঐক্যের পতাকাতলে আবদ্ধ হউন -এমপি জাফর

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া  :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় সংসদ সদস্য আলহাজ জাফর আলম এবং আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের আলোচনা সভা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ দিনভর নানা কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয় দলের পক্ষ থেকে। বিকেলে শুরু হয় আলোচনা সভা। সেই সভায় ঢল নামে দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সমর্থকদের। এতে বক্তব্য রাখেন দলের জেলা, উপজেলা, পৌরসভা এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য দেন। এর আগে দুপুর থেকে মিছিলে সহকারে যোগ দেন দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা।

চকরিয়া পৌরশহরের চিরিঙ্গা থানা রাস্তার মাথায় বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ কর্নারের নিচে সিস্টেম কমপ্লেক্স চত্বরে সোমবার (৭ মার্চ) দুপুর থেকে প্রচার হতে থাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের কালজয়ী ভাষণ। বিকেল তিনটার দিকে শুরু হয় আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম।

চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটুর সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক, জেলা পরিষদ সদস্য লায়ন কমরুদ্দীন আহমদ, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা, সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছৈয়দ আলম কমিশনার, উপজেলার প্রচার সম্পাদক আবু মুছা, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মো. শহীদুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, পেকুয়ার যুগ্ন সম্পাদক আবু শামাসহ পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ওয়ালিদ মিল্টন, বিএমচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউল আলম ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম খোকন, চিরিঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জামাল হোসেন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জাফর আলম প্রকাশ সিআইপি জাফর, বদরখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরে হোছাইন আরিফ, সাধারণ সম্পাদক একে ভুট্টু সিকদার, কোনাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার, সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন হেলালী, হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহরাজ উদ্দিন মিরাজ, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর, কাকারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন, উপজেলার সাংগঠনিক এবং কাকারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মো. শওকত ওসমান, বরইতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরুল আলম, ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাঈনুদ্দীন চৌধুরী, বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুরুল কাদের, সাহারবিলের চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী, খুটাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন ও সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর হক, আওয়ামী লীগ নেতা রুস্তম শাহরিয়ার, পৌরসভা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক প্যানেল মেয়র মো. বশিরুল আইয়ুব, পৌরসভার নেতা সাবেক কাউন্সিলর রেজাউল করিম, চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছিরসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

দলের ভেতর কোন্দল সৃষ্টিকারীদের উদ্দেশ্যে জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক লায়ন কমরুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত আবারো মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা আবারো আগুন-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে মাঠে নামার সুযোগ খুঁজছে। অতএব দলের ভেতর যারা কোন্দল সৃষ্টি করছেন, তারা মূলত বিএনপি-জামায়াতকে সুযোগ করে দিচ্ছেন। তাই সময় থাকতে ঐক্যবদ্ধ হউন। তা না হলে ঘরেও থাকতে পারবেন না।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের কালজয়ী ভাষণের ওপর স্মৃতিচারণা করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য জাফর আলম বলেন, ‘অতীতে বিএনপি-জামায়াতের হামলা, মামলা, জেল-জুলুমের শিকার যারা হয়নি, তারাই দলের ভেতর কোন্দল সৃষ্টি করছে। কয়েকজন নেতা প্রকাশ্যে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে বিএনপি-জামায়াতকে সুযোগ করে দিচ্ছে। তবে আমি তাদের হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, সেই খেলা ভবিষ্যতে আর চলতে দেওয়া হবে না। সময় থাকতে গ্রুপিং বাদ দিয়ে ঐক্যের পতাকাতলে আবদ্ধ হউন। তা না হলে সময়ই বলে দেবে কার ভাগ্যে কী আছে।’

 

 

পাঠকের মতামত: