নিউজ ডেস্ক ::
নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে একাদশ সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন বিএনপি থেকে নির্বাচিত চার নেতা। শপথ না নেয়ার ব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলেও নেতারা দাবি করেছেন তারা দলের সিদ্ধান্তেই শপথ নিয়েছেন। তবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখনো শপথ নেননি।
সোমবার বিকাল পৌনে ছয়টার দিকে ধানের শীষ নিয়ে বিজয়ী চারজনকে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
শপথ নেয়া বিএনপির এই চারজন হলেন- বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুন অর রশীদ, ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া।
স্পিকারের কার্যালয়ে শপথ গ্রহণকালে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. শামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান।
শপথ নেয়ার আগে নির্বাচিতরা বলেছেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দলীয় সিদ্ধান্তেই তারা শপথ নিয়েছেন। তারা সংসদে গিয়ে সরকারের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলবেন। এছাড়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে আরেকটি নির্বাচনও দাবি করবেন।
গত ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে মোট আটজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন৷ তাদের মধ্যে ছয়জন বিএনপির এবং দুজন গণফোরামের৷ ৩০ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসলেও ৮ মার্চ শপথ নেন মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে গণফোরামের সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ৷ আর ২ এপ্রিল শপথ নেন গণফোরাম থেকে নির্বাচিত আরেকজন সংসদ সদস্য সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত মোকাব্বির হোসেন৷
নির্বাচনের পরপরই বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অনিয়ম এবং ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বয়কট এবং নতুন নির্বাচনের দাবি জানায়৷ দলের নির্বাচিত এমপিরা শপথ নেবেন না বলেও জানানো হয়৷ পরে গণফোরামের দুই এমপি শপথ নিলেও বিএনপি শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্তে অনড়৷
সংবিধান অনুযায়ী সংসদের প্রথম অধিবেশনের পরবর্তী ৯০ দিন পর্যন্ত নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নিতে হয়৷ নয়তো আসন শূন্য হয়৷ তবে কোনো সংসদ সদস্য যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে এই সময় বাড়িয়ে নিতে পারেন৷ কোনো আসন শূন্য হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করার বিধান রয়েছে৷
দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই গত বৃহস্পতিবার শপথ নেন জাহিদুর রহমান জাহিদ। পরে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। আর বাকিরা শপথ নেবেন না বলে জানানো হয়। তবে এই সিদ্ধান্তের মধ্যেই শপথ নিলেন আরও চারজন। এখন শুধু মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথের বাইরে রয়েছেন। শেষ পর্যন্ত তিনিও শপথ নেন কি না তা দেখতে অপেক্ষা।
পাঠকের মতামত: