মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
লামায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চোরাই ভাবে পাচার হওয়া কাঠ জব্দ করতে গিয়ে পিকআপ ড্রাইভারের হামলার স্বীকার হয়েছে এক সেনা সদস্য। ২০ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকাল ৮টার দিকে লামা-চকরিয়া সড়কের ইয়াংছা বদুরঝিরি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, শনিবার ভোরে ১৫/২০ টি পিকআপ ও ট্রাকে করে কাঠ পাচার হওয়ার গোপন সংবাদ পেয়ে ইয়াংছা আর্মি ক্যাম্পের ইনচার্জ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কাঠ জব্দ করতে বের হয়। ইয়াংছা বাজার থেকে বের হয়ে কিছুদুর আসলে বদুর ঝিরি নামক স্থানে একটি কাঠ বোজাই পিকআপ দেখে দাঁড়াতে নির্দেশ দিলে আদেশ অমান্য করে পিকআপ ড্রাইভার মোঃ সোহরাব পালিয়ে যেতে থাকলে পিছন থেকে সেনা সদস্যরা ধাওয়া করে। সেনা সদস্যরা পিছনে যেতে থাকলে পিকআপ ড্রাইভার গাড়ী থেকে গাছের টুকরা সেনা সদস্যকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারে। এতে করে সেনাবাহিনীর একজন সদস্য হাতে প্রচন্ড ব্যাথা পায়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া শেষে লামা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড রাজবাড়ী এলাকায় এসে গাড়ীটিকে হাতেনাতে আটক করে। এই অভিযানে সেনা সদস্যরা বনবিভাগকে সাথে নিয়ে ইয়াংছা এলাকায় থেকে কাঠ সহ আরো ৫টি পিকআপ ও রাজবাড়িতে ১টি ট্রাক আটক করে। মোট ৭টি গাড়ীতে জব্দকৃত কাঠের পরিমাণ প্রায় ৮শত ঘনফুট বলে জানায় বনবিভাগ। জব্দকৃত গাছের স্থানীয় বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা।
লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী কাঠ জব্দের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বন বিভাগ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে সেনা সদস্যের আঘাত পাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। গাছ আনলোড করার পর ১টি গাড়ি ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়। বর্তমানে গাড়ী ৬টি ও কাঠ জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে প্রতিদিন লামা উপজেলা থেকে পিকআপ, চান্দের গাড়ী ও ট্রাক যোগে দুই শতাধিক গাড়ি গাছ পাচার হওয়ার বিষয়ে এলাকাবাসি আক্ষেপ প্রকাশ করেন। অপরদিকে মাতামুহুরী নদী দিয়ে নৌ-পথে শতাধিক নৌকায় করে কাঠ পাচার হচ্ছে। ইতিমধ্যে বনাঞ্চল বৃক্ষশূণ্য হয়ে পড়েছে। কাঠ ও লাকড়ি পাচার বন্ধ করা না গেলে অচিরে লামা উপজেলা মরুভূমিতে পরিণত হওয়ার আশংকা করে স্থানীয়রা।
পাঠকের মতামত: