ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

ম্রো পাড়ায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের অভিযোগে

লামায় রাবার কোম্পানির বিরুদ্ধে ৬ দিন পর মামলা

লামা প্রতিনিধি :: বান্দরবানের লামা উপজেলার ম্রো পাড়ায় বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, হামলা–ভাঙচুরের ঘটনায় দীর্ঘ ছয় দিন পর স্থানীয় রাবার কোম্পানির লোকজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার বিকালে উপজেলার সরই ইউনিয়নের রেংয়েন পাড়ার কারবারী রেংয়েন ম্রো বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে লামা থানার ওসি শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান।

মামলায় লামা রাবার ইন্ড্রাস্ট্রিজ কোম্পানি লিমিটেডের ১০ কর্মকর্তা–কর্মচারীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫০ থেকে ১৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আসামিরা হলেন– রাবার কোম্পানির প্রকল্প পরিচালক কামাল উদ্দিন, চেয়ারম্যান সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক আরিফ হোসেন, কর্মচারী নুরু, দেলোয়ার হোসেন, দুর্যোধন ত্রিপুরা, হাজিরাম ত্রিপুরা, আব্দুল মালেক ও মহসিন রেজা।

খবর বিডিনিউজের। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সরই ইউনিয়নে ৩০৩ ডলুছড়ি মৌজার তিনটি পাড়ার তিনজন কারবারি নিয়ে তফসিল বর্ণিত ৪০০ একর জমিতে বংশপরম্পরায় পাশাপাশি বসবাস করে আসছে। এক থেকে তিন নম্বর আসামি ভূমিদস্যু প্রকৃতির লোক হওয়ায় উক্ত জায়গায় বসবাস করা পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে ভয় দেখিয়ে উচ্ছেদ করতে চেষ্টায় রয়েছে।

গত ১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১২টার দিকে এক থেকে ৪ নম্বর আসামি নির্দেশে অন্যান্য আসামিসহ ও অজ্ঞাত আরও ১৫০–১৭০ জন পাড়ায় ঢুকে ছয়টি ট্রাকে দিয়াশলাই ও কেরোসিনের ট্যাংক দিয়ে তিন ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

আগুনে ঘরের জিনিসপত্র, খাদ্যদ্রব্য, গবাদিপশু, নগদ টাকা, জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র পুড়ে যায়। আরও পাঁচটি ঘর ভেঙে ফেলা হয়।

হামলাকারীরা বাসিন্দাদের পাড়া ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়। রোববার রাতে হামলার পর থেকেই ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে আসছে লামা রাবার ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সকালে রেংয়েন ম্রো পাড়া পরিদর্শন করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চার সদস্যের একটি তদন্তদল। তারা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এ বিষয়ে খুব শিগগির কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: