ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

লামায় জমি বিরোধের জের: সাজানো মামলায় বাদীসহ আটক ৭জন, মুচলেকায় ছাড়া পেল

নিজস্ব প্রতিনিধি, লামা :
চকরিয়া ও লামার সীমানাবর্তী কুমারী পাইন্যার ঝিরি এলাকায় জমি বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে এক দিনমজুরকে হত্যা করে লাশ গুমের অভিযোগে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে গুম হওয়া সামশুল আলমের স্ত্রী।
অভিযোগ পাওয়ার পর চকরিযা থানার পুলিশ ও লামার কুমারী তদন্ত ফাঁড়ির যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ওইদিন রাতে। এসময় অভিযোগের সত্যতা না থাকার কারণে বাদীসহ ৭ জনকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, লামা ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কুমারী পাইন্যার ঝিরি (চকরিয়া উপজেলা সীমান্তবর্তী) এলাকায় কিছু জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মামলা ও দখল বেদখলের ঘটনা চলে আসছে। প্রতিপক্ষেকে ফাঁসাতে গিয়ে এক পক্ষ সামশুল আলমকে খামারবাড়ী থেকে প্রতিপক্ষের লোকজন হত্যা করে লাশ গুম করার অভিযোগে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করে।
বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে চকরিয়া থানার পুলিশ ও লামা থানার সহযোগিতায় পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌছে গভীর রাত আড়াইটার দিকে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে দলিল নামের এক ব্যক্তির খামার বাড়ির মেঝেতে রত্তে লাল হয়ে আছে। পুলিশ রক্ত দেখে এবং তা সনাক্তের চেষ্টা করে। এসময় আশপাশের এলাকা তল্লাসী করে পাওয়া মেঝেতে পড়ে থাকা এসব রক্ত নয়। এসব রং নয় বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে লামা কুমারী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি আবদুল মালেক এ প্রতিবেদককে জানায়, চকরিয়া থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে লামা থানা তাকে সহযোগিতার জন্য ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এসময় তিনি চকরিয়া থানার সাথে যোগোযোগ রক্ষা করে ঘটনাস্থলে পৌছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে দলিল নামের এক ব্যক্তির খামার বাড়ির মেঝেতে রত্তে লাল হয়ে আছে। পুলিশ রক্ত দেখে এবং তা সনাক্তের চেষ্টা করে। আশ পাশ তল্লাসী করে একটি রংয়ের কৌটা পাওয়া যায় । মেঝেতে পড়ে থাকা এসব রক্ত নয় এটা রং ছিল বলে প্রথমিক ধারণা করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উপস্থিত বাদীসহ ৭ জন লোককে আটক করে। তিনি আরো জানায়, জিজ্ঞাসা বাদের জন্য তার নেতৃত্বে ৪ জন ও চকরিয়া থানার বাদীসহ ৩ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনাস্থল থেকে চকরিয়া থানায় নিয়ে আসা ব্যক্তিরা হল: জয়নাল আবেদীন (৪৮) পিতা: নাদের হোসেন, মনজুর আলম (৪০) পিতা: মৃত মোহাম্মদ কালু, ৭নং ওয়ার্ড, পালাকাটা, চকরিয়া ও মামলার বাদী বেগম (৩২) স্বামী: ভিকটিম সামশুল আলম, ফেতাইন্যারছড়া, কুমারী, লামা।
জানা গেছে, আটকৃতৃদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে লামা ও চকরিয়া থানায় আটকৃত ৭ জনকে মুচলেকার মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত: