লামা জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া নারীর কঙ্কালটি নিখোঁজ মিনু আরা বেগমের বলে দাবী করছে তার মা-বাবা। কঙ্কালটি উদ্ধার হওয়ার পর অপরাধি চক্রের আতœীয় স্বজনেরা মিনু আরা বেগমের মা-বাবাকে জিম্মি করে রেখেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চলছে চাপা উত্তেজনা।
পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের বধুবর (চুয়ারী) পাড়ার বাসিন্দা আলী মিয়ার পুত্র দিন মজুর এজাহার মিয়া কান্না জনিত কন্ঠে বলেন, বার বছর পূর্বে তিনি লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী উত্তর মালুম্যা থেকে একখন্ড জায়গা নিয়ে বসতি করে আসছেন। উজানটিয়া থাকা অবস্থায় তার কন্যা মিনুআরা বেগমের সাথে বিয়ে হয় ফরিদপুরের আল আমিন নামের একব্যক্তির সাথে। আল-আমিনের ঘরে দুটি শিশু জন্মের পর তিন বছর পূর্বে স্বামীর ঘর ত্যাগ করে মালুম্যায় চলে আসে। এ অবস্থায় এলাকার বিভিন্ন বাড়ী ঘরে কাজ করে তার মেয়ে মিনু আরা বেগম জীবন যাপন করে আসছে। কিন্তু একই এলাকার মোজাম্মেল এর সাথে মিনু আরা অবৈধ সম্পর্ক হয়েছে বলে অজুহাত তুলে মোজাম্মেলের স্ত্রী পুতুনি তার ৫-৬ জন আত্মীয় স্বজন নিয়ে গত একমাস পূর্বে মিনু আরা বেগমকে দিন দুপুরে ব্যাপক মারধর করে। এ ঘটনার ২দিন পর মিনু আরা বেগমের খোঁজ খবর না পাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে সন্ধান নিতে তাকে। মিনু আরা নিখোঁজ হওয়ার সাথে সাথে অভিযুক্ত মোজাম্মেল ও নিখোঁজ হয়ে যান। এ অবস্থায় নিখোঁজ মিনু আরা বেগমের বাড়ীর দুই মাইল পূর্বে জঙ্গল থেকে লামা থানার পুলিশ গত ২৭ মে বিকালে এক নারীর গলিত কঙ্কাল উদ্ধার করে। এসময় একটি বোরকা, এক জোড়া সেন্ডেল ও পরনের কাপড়ও উদ্ধার করে। উক্ত নারীর কঙ্কাল ও পরনের কাপড় ছোপড় উদ্ধার করার পর সাবেক এক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে এক দল সন্ত্রাসী সারা রাতভর মিনু আরা বেগমের পিতা এজাহার মিয়াকে জিম্মি করে রেখেছে। উক্ত অপরাধি চক্র তাকে এবং তার স্ত্রীকে কোন স্থানে যেতে দিচ্ছেনা। এমনকি উদ্ধার হওয়া কাপড়-চোপড় সনাক্ত করার জন্য লামা থানায় পর্যন্ত যেতে পারছেনা। সাফ কথা অপরাধি চক্র মিনু আরার পরিবারকে জিম্মি করে রেখেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চলছে চাপা উত্তেজনা।
পাঠকের মতামত: