পারভিন আকতার, কক্সবাজার :
রোগীর স্বজনদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে কৌশলে ফটোশেসনে মেতে উঠছেন ঔষধ কোম্পানির এম আর‘রা । কক্সবাজার সদর হাসপাতালে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভরা নিজেদের অবস্থান কোম্পানীর কাছে তুলে ধরতে তারা রোগীর প্রেসক্রিপশন নিয়ে মোবাইলে ছবি তুলে নিচ্ছেন। বর্হি বিভাগের সামনে এবং কোনো রোগী ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরিয়ে আসার সাথে সাথে তার প্রেসক্রিপশন নিয়ে ছবি তোলা হচ্ছে প্রেসক্রিপশনের ছবি। প্রতিদিন সকাল থেকে বর্হি বিভাগ খোলা থাকা পর্যন্ত রিপ্রেজেনটেটিভকে প্রেসক্রিপশন দেখাতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। এতে করে রোগীর স্বজনরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সপ্তাহে দুইদিন ঢুকতে পারবে তারা। তার পরেও হাসপাতালের বর্হি বিভাগের সামনে রোগীদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে তাদের কোম্পানির ঔষুধ লেখা আছে কি না তা দেখতে রোগীদের ওপর প্রায় হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন তারা। ফলে রোগী ও রোগীর আত্বীয়-স্বজনরা পড়ে বেকায়দায়। বিশেষ করে জরুরী বিভাগের রোগীরা এ সমস্যায় সম্মূখীন হচ্ছে বেশী।
কক্সবাজার সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, সপ্তাহে সোমবার ও বুধবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত ক্ক্সবাজার সদর হাসাপাতালের চিকিৎসকদের সাথে ঔষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের (রিপ্রেজেনটেটিভদের) দেখা করতে পারবেন। অন্য সময় বিক্রয় প্রতিনিধিরা কোনো চিকিৎসকের সাথে দেখা করতে পারবেন না। এ নিয়ম তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন ঔষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা নির্ধারিত সময়ের বাইরেও চিকিৎসকদের সাথে দেখা করেন। অপরদিকে কক্সবাজার হাসপাতালে মাঝে মধ্যেই ধরা হয় রিপ্রেজেনটেটিভদের। তাদের ধরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠান। আবার মাঝে মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রিপ্রেজেনটেটিভদের ভেতরে আসতে নিষেধ করে। কিন্তু তার পরেও থেমে থাকে না তাদের অবাধ বিচরণ।
হাসপাতালের বর্হিঃবিভাগে চিকিৎসা নিতে গর্জনিয়ার আবদুস সালাম বলেন, হাসপাতাল থেকে বাহিরে আসতেই ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিরা এসে ঔষুধের স্লিপের ছবি তোলার জন্য ব্যস্ত হয়ে যায়। রামু থেকে বর্হিঃবিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘অনেকক্ষন পরে ভেতরে গিয়ে ডাক্তার দেখালাম। বেরিয়ে আসার পরে ঔষুধ কোম্পানির তিন চার-জনের বেশি লোক প্রেসক্রিপশন নিয়ে মোবাইলে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। রোগীরা এতে বিব্রত বোধ করে। আপত্তি জানালেও কোন কাজ হয় না ।
পাঠকের মতামত: