বার্তা পরিবেশক :: কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম এমএ বলেছেন- এমন একটা সময় গেছে কক্সবাজার জেলার কোথাও জয়বাংলা শ্লোগান দেওয়ার কেউ সাহস করতো না। সেখানে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করাটাও ছিল বেশ দুরহ ব্যাপার। এতে প্রতিনিয়ত মিথ্যা মামলা, হামলা, জেল-জুলুমের শিকার হতে হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। যার জ্বলন্ত উদাহরণ আমি নিজেও। সেই বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্টে বছরের পর বছর কাটাতে হয়েছে আমাকে।
এমপি জাফর বলেন, আমার অপরাধ ছিল আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে চকরিয়া ও পেকুয়ায় আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছিলাম। এজন্য বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের রক্তচক্ষুতে পরিণত হয়েছিলাম আমি। অবশ্য তখনও আমাদের দলের অনেকে খন্দকার মোস্তাকের ভূমিকায় ছিলেন। তারা প্রতিনিয়ত সেই সালাহউদ্দিনকে হাজিরাও দিতেন। যার কারণে তাদের বিরুদ্ধে সেইসময়ে কোন মামলা-হামলাও হয়নি। এখন তারা আবার দলের জন্য মায়াকান্না শুরু করেছেন। তবে তাদের সেই মায়াকান্না যে বিএনপি-জামায়াতকে ফের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য, তা বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত সৈনিকেরা হাড়ে হাড়ে উপলব্দি করতে পারেন।
এমপি জাফর আলম বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে এই দেশে বিএনপি-জামায়াতচক্র পাকিস্তানী ভাবধারার রাজনীতি শুরু করেছিলেন। একে একে তিনটি প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে দেওয়া হয়নি। দেশকে স্বাধীন করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে যে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন সাড়ে সাত কোটি মানুষ, সেই প্রকৃত ইতিহাসও তিন প্রজন্মকে জানতে দেয়নি স্বাধীনতাবিরোধীচক্র।
গত শনিবার রাতে কক্সবাজারের রামু উপজেলায় সাতদিনব্যাপী চলমান ‘বঙ্গবন্ধু উৎসব’ এর দ্বিতীয় দিন এর রাতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন এমপি জাফর আলম। এ সময় তিনি উপরোক্ত স্মুতিচারণ করেন।
প্রতিবছর রামুতে বঙ্গবন্ধু উৎসব উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়ায় কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলকে ধন্যবাদ জানান কক্সবাজার-১ আসনের এমপি জাফর আলম। তিনি বলেন- প্রতিবছর রামুতে বঙ্গবন্ধু উৎসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরছেন নতুন প্রজন্মের কাছে। একইভাবে একসময়ের বিএনপি-জামায়াতের ঘাঁটি চকরিয়া ও পেকুয়াকে আওয়ামী লীগের উর্বরভূমি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। চকরিয়া-পেকুয়ার নতুন প্রজন্মও প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারছেন আমার উদ্যোগে গড়ে তোলা ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ কর্নার’ থেকে। যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বনেতৃত্ব হয়ে উঠার সব ইতিহাস নতুন প্রজন্ম ধারণ করতে পারবে।
পাঠকের মতামত: