সরেজমিনে জানাযায়, চলমান ২২ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলাকালেই গত বছরের ১১ নভেম্বর মাতারবাড়ীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমনের সংবাদে ধীরগতির কাজে হঠাৎ গতি এসেছিলো। ইমার্জেন্সি ওয়ার্কের টাকার দয়ায় সড়কে ভোগান্তির জিম্মিদশা থেকে সাময়িক মুক্তি পেয়েছিলো ধলঘাট- মাতারবাড়ীবাসী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যাবার পরে ওই সড়কের কাজ ফেলে পালায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আসাদ এন্টারপ্রাইজের মালিক ঠিকাদার আসাদুল্লাহ।
অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় এলজিইডি অসহায়। এমনই জানান সড়কের ভুক্তভোগীরা। এ অবস্থায় এলজিইড়ি কিংবা জনপ্রতিনিধি কেউ মুখ খুলছেন না। ফলে সীমাহীন সড়ক যন্ত্রণা লেগেই আছে।বৃষ্টিতে গর্ত আবার গরমে ধুলাবালি উড়ে পড়ছে লবণমাঠে, ঘামের ফোঁটায় উৎপাদিত লবণে ধুলাবালি থাকার কারণে ন্যায্যমূল্য বঞ্চিত হচ্ছেন চাষীরা।
ঠিকাদার আসাদ উল্লাহ’র কাছে সড়কের এমন দূরাবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিল না পেয়ে কাজ বন্ধ করেছেন। এছাড়া ওই কাজ তিনি আর করবে না জবাব দেন।
স্থানীয়রা জানান,কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে খানাখন্দকে ভরা সড়কে স্বাভাবিক চলাচল অনেক টা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তবুও বিকল্প উপায় না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যানচলাচল করে আসছিলো ভুক্তভোগী মানুষগুলো।
বর্তমানে নানা অজুহাতে আসাদ এন্টারপ্রাইজ কালক্ষেপণের ফলে বর্ষা মৌসুমে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকায় স্থানীয়রা। ইতিপূর্বে স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক এমপি কাজ পরিদর্শন করে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মামুন খান’ এলজিইডি কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এব্যাপারে এখন কোন কথা বলা যাবে না বলে ফোন কেটে দেন। যদিও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে ওই সড়কে জরুরি মেরামতের শ্রমিক খরচ বাবদ আসাদ এন্টারপ্রাইজ এর জন্য অর্ধকোটি টাকার লেনদেনের লুটপাটের কাহিনী মানুষের মুখে মুখে ।
উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার” এর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি সত্তর ভাগ কাজ শেষ হয়েছে দাবী করলেও দৃশ্যমান কোন কাজ না করেই লাপাত্তা ঠিকাদার আসাদ উল্লাহ। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করেছেন মাতারবাড়ীবাসী।
পাঠকের মতামত: