প্রেস বিজ্ঞপ্তি :: বিশ্বে ৬০ কোটি মানুষ ভেজাল ও দূষিত খাবারের কারণে প্রতিবছর অসুস্থ হন। এখন পর্যন্ত ৪ লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত ভেজাল খাবার খেয়ে ৪৫ লাখ মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন। বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাবার তৈরি এবং বিক্রয়ের ক্ষেত্রে নিরাপদ খাদ্য আইন বাস্তবায়ন জরুরি।
আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নিরাপদ খাদ্য ও ভোগ্যপণ্য আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজিত এক মানববন্ধনে আলোচকরা এসব কথা বলেন।
মানববন্ধনে সংগঠনের প্রধান নির্বাহী কামরুজ্জামান বাবলু’র সভাপতিত্বে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার জাকির হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দেশের প্রায় সকল ভোগ্যপণ্যের মধ্যে ভোজাল ঢুকে গেছে। অধিক লাভের আশায় অনেকে খাদ্যে ভেজাল মেশাচ্ছে। শক্ত হাতে এগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব না হওয়ায় ভয়াভয় আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে ছোট বড় সকল খাবার দোকানে ভেজাল পাওয়া যায়। ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে নামলে এসব শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
তারা আরও বলেন, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে দূষিত খাবার খেয়ে প্রায় ১৫ কোটি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় দুই লাখ মানুষ মারা গেছেন। বাংলাদেশে ৪৫ লাখ মানুষ ভেজাল খাবার খেয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন।
মানববন্ধন থেকে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী দেশে বর্তমানে শতকরা ১৬ ভাগ মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। রাসায়নিক মেশানো খাবার খেয়ে কিডনি রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর অন্যতম কারণ খাবারে ভেজাল। মৌসুমী ফলেও রাসায়নিক প্রয়োগ করা হয়।
রমজানে সকল ভোগ্যপণ্য ভেজালমুক্ত রাখার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, রমজান সিয়াম সাধনার মাস। এ সময় ভোজাল ভোগ্যপণ্য থেকে আমাদের মুক্তি দিতে হবে। কঠোরভাবে সরকারকে ভোজাল মুক্ত করতে হবে। এ জন্য নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ ও ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৫ বাস্তবায়ন করা জরুরি।
পাঠকের মতামত: