অনলাইন ডেস্ক :: দেশে নামধারী ভুয়া চিকিৎসক প্রতিরোধে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছেন বিএমডিসির ডেপুটি রেজিস্ট্রার ডা. মো. লিয়াকত হোসেন। আজ বুধবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে এ কথা জানান তিনি।
ডা. লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘ভুয়া চিকিৎসক প্রতিরোধে আমরা একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছি। যারা বিএমডিসির কাউন্সিলর ছিলেন, তাদেরকে দিয়ে প্রাথমিকভাবে পকেট ভার্সন রেজিস্ট্রেশন কার্ড বা স্মার্ট কার্ডের উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি পর্যায়ক্রমে সব চিকিৎসককে দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই কার্ড দেওয়া শুরু করতে তিন-পাঁচ মাস লাগতে পারে। ধাপে ধাপে দেওয়া হবে। একসাথে সবাইকে সম্ভব হবে না। এটি খুব সাবধানে দিতে হবে। যাতে কোনো ধরনের জালিয়াতি বা নকল না হয়। কার্ডের সকল সিকিউরিটি নিশ্চিত করে চিকিৎসকদেরকে এই কার্ড দেওয়া হবে।’
বিএমডিসির ডেপুটি রেজিস্ট্রার বলেন, ‘এই কার্ডের মধ্যে একটি কিউআর কোড দেওয়া হয়েছে। কারও যদি মোবাইলে কিউআরের অ্যাপ থাকে, কার্ডটি মোবাইলের সামনে ধরলে সরাসরি আমাদের বিএমডিসির ওয়েবসাইটে চলে যাবে। এই কার্ডের মাধ্যমে আসল বা নকল চিকিৎসক শনাক্ত করা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ যদি এই কার্ড ব্যবহার করে এবং কিউআর কোডটা যদি বিএমডিসির ওয়েবসাইটে না থাকে। তাহলে এই কার্ড কাজ করবে না।’
ডা. লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘ভুয়া চিকিৎসক প্রতিরোধে এই কার্ড কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। এই কার্ড সবাই পাবে। তবে কারা কিভাবে পাবে তা পরিকল্পনা করে ঠিক করা হবে, এটি সময়ের ব্যাপার। আমাদেরও পরিকল্পনা নেওয়ার ব্যাপার আছে। হয়তো, নবীন চিকিৎসকরা এই কার্ড আগে পাবেন। পরে পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে বয়োজ্যোষ্টদেরকে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।’ সূত্র: মেডিভয়েস
পাঠকের মতামত: