ঢাকা,বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

বাংলা মায়ের ভাষা শহীদদের পেকুয়াবাসী স্মরণ করলো বিনম্র শ্রদ্ধায়

ািআাাাাএফ এম সুমন,পেকুয়া(কক্সবাজার উত্তর)
বাংলা মায়ের ভাষার অধিকার রক্ষায় ১৯৫২ সালের ২১ শে ফ্রেব্রুয়ারি প্রান দিয়েছিলেন,শফিক,রফিক,জব্বার বরকত,সালাম সহ আরও অনেক বাংলার বীর সেনানী।সে দিন ভিনদেশিরা আমার মায়ের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিলেন। চাপিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তাদের উর্দু ভাষা,কিন্তু সে দিন সেই নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্য  ঢাকায়  ১৪৪ ধারা জারি করেন।কিন্তু সেদিন সেই ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে ছাত্ররা জড়ো হয়ে রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই আমাদের মায়ের ভাষা বাংলা বলে মিছিল বের করে।তার পর পর পুলিশের গুলিতে নির্মম ভাবে শহীদ হন আমাদের ভাষা বীর ভাইয়া।সে দিন থেকে অবশেষে পাক দুশরেরা বাংলা ভাষাকে মেনে নিতে বাধ্য হন।কিন্তু মায়ের ভাষার জন্য রক্ত দেয়া পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন।অবশেষে ২১ শে ফ্রেব্রুয়ারি কে আন্র্তজাতিক মাতৃভাষা হিসেবে পালন করে আসছেন বিশ্ববাসী।তার ই ধারাবাহিকতায় আজ ২১ শে ফ্রেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিনম্র শ্রদ্ধাভরে পালন করছেন পেকুয়াবাসি।সকালের প্রথম প্রহরে  পেকুয়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সংগঠন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।এবং পেকুয়ার  বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা খালী পায়ে প্রভাত ফেরিতে অংশ নেন।পরে পেকুয়া জিএমসি ইনস্টিটিউশনে পেকুয়া উপজেলা প্রশাসন কতৃক  আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আরম্ভ হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন জিএমসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিন।সঞ্চালনা করেন,মাষ্টার হানিফ চৌধুরী এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফুর রশীদ খান।বিশেষ অতিথি ছিলেন পেকুয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরজামান মঞ্জু,বক্তব্য রাখেন,পেকুয়া উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাতীয় পার্টি নেতা সাংবাদিক দিদারুল করিম,মাষ্টার মোঃ  মুদাচ্ছের মুরাদ,সাংবাদিক এম.আব্দুল্লাহ আনছারি,মাষ্টার জাহাঙ্গীর আলম,সাংবাদিক এফ এম সুমন প্রমুখ।এই সময় পাহাড়ি রাখাইনদের বাহারি নৃত্যে সবাইকে মুগ্ধ করেন। পরে উপজেলা প্রশাসন ও মাষ্টার মোঃ মুদাচ্ছের মুরাদের ব্যাক্তিগত পক্ষ থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।বক্তারা সবাই সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষার প্রচলন বৃদ্ধি করার জোর দাবি জানান।

পাঠকের মতামত: