ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বাঁশখালীতে আতঙ্ক আসামি ৮ হাজার!

035110Pic-15বাশঁখালী প্রতিনিধি :::
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পক্ষ, বিপক্ষ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। দুটি হত্যা মামলা ও পুলিশের একটি মামলায় কয়েকজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আট হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরদিন গতকাল মঙ্গলবারও বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপক্ষে এলাকায় সভা আর পক্ষে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ হয়েছে। এসব মামলা আর উত্তেজনার কারণে এলাকায় ধরপাকড় ও আরো সংঘাতের আতঙ্ক বিরাজ করছে। পাশাপাশি প্রাণঘাতী সংঘর্ষের কারণে উভয় পক্ষে বিরাজ করছে তীব্র ক্ষোভ। এই ক্ষোভের কারণে গতকাল এলাকায় পুলিশ পর্যন্ত যায়নি বলে পুলিশ প্রশাসন থেকেই স্বীকার করা হয়েছে।

এ ছাড়া সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, সোমবারের সংঘর্ষের সময় নিহতদের কেউ কেউ ছররা গুলিবিদ্ধ হয়েছে আর ছররা গুলি পুলিশ ব্যবহার করে না বলে দাবি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন বলেছেন, পুলিশের পাশাপাশি মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরাও গুলি ছুড়েছে।

গতকাল দায়ের হওয়া তিন মামলায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধী পক্ষের নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা লিয়াকত আলীসহ ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে পক্ষ-বিপক্ষের লোকজন যারা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেছে, তাদের মধ্যেও বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত সোমবার বিকেলে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিপক্ষের ‘বসতভিটা রক্ষা কমিটি’ সমাবেশ ডাকে। ওইখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে পাল্টা সমাবেশ ডাকা হয়। উত্তেজনাকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে গিয়ে পুলিশও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে একই পরিবারের তিনজনসহ চারজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বিকেলে দাফন করা হয়।

নিহতরা হলেন পশ্চিম গণ্ডামারা গ্রামের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন আক্কু (৪৫), মর্তুজা আলী (৫০), তাঁদের জামাই দক্ষিণ সরল গ্রামের বাসিন্দা জাগের আহমদ (৪০)। এই তিনজন একই পরিবারের। অন্যজন পশ্চিম গণ্ডামারার মৃত নূর আহম্মেদের ছেলে জাকের হোসেন (৬০)। এক পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় মর্তুজা আলীর বড় ভাই মৌলভি বশির আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ১৪-১৫ শ জন এবং জাকেরের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১৪-১৫ শ জনের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সমাবেশ, পুলিশের কাজে বাধা এবং পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনায় বাঁশখালী থানার উপপরিদর্শক বাহার মিয়া বাদী হয়ে ৫৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় চার-পাঁচ হাজার মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সাতকানিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ কে এম এমরান ভুঁইয়া এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

30কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিপক্ষ অবলম্বনকারী এবং সমাবেশে অংশ নেওয়া মোহাম্মদ হাছান ও মোহাম্মদ উল্লাহ অভিযোগ করেন, গণ্ডামারায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হলে গ্রামবাসীর অনেকেই বসতভিটা হারাবে।

এ ছাড়া পরিবেশের ক্ষতি হবে। গণ্ডামারা এলাকায় বঙ্গোপসাগরের ইলিশ প্রজনন কেন্দ্রে ইলিশ প্রজনন বন্ধ হতে পারে। এ কারণেই এলাকাবাসী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরোধিতা করছে। অন্য যেকোনো সরকারি প্রকল্পে তারা সহযোগিতা করতে রাজি।

ঘটনা কিভাবে ঘটেছে—এমন প্রশ্নে হাছান, মোহাম্মদ উল্লাহসহ একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, বিদ্যুৎ প্রকল্পের লোকজনের সঙ্গে স্থানীয়দের বিরোধের জের ধরে চীনের সঙ্গে যৌথভাবে অংশীদার এস আলম গ্রুপের পক্ষে বাঁশখালী থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার পর বাঁশখালী থানা-পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। এই সাতজনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে এলাকাবাসী সোমবার গণ্ডামারা হাজিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (মুজিবকিল্লা) নামক স্থানে সমাবেশের ডাক দেয়। সকাল থেকেই সমাবেশের পক্ষে এলাকায় মাইকিং হচ্ছিল। এর মধ্যে দুপুরে আকস্মিকভাবে অন্য একটি মাইক থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে সমাবেশের ডাক দিয়ে মাইকিং শুরু হয়। ওই সমাবেশস্থল হাজিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উল্লেখ করা হয়। সমাবেশে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর উপস্থিত থাকার কথাও ঘোষণা করা হয়।

এর মধ্যে দুপুর ২টার পর থেকেই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপক্ষে চার-পাঁচ হাজার গ্রামবাসী সমাবেশস্থলে জড়ো হয়। সেখানে মাইকে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছিল। তখন আকস্মিকভাবে পুলিশের গাড়ি সেখানে পৌঁছে। পুলিশের পরপরই সেখানে মোটরসাইকেল নিয়ে কিছু লোক পৌঁছে। এরপর মুহূর্তেই শুরু হয় গোলাগুলি। গুলির শব্দে মানুষ দিগ্বিদিক দৌড়াতে থাকে। পরে কয়েকজনের লাশ ও আহত লোকজন পাওয়া যায়।

স্থানীয়রা আরো জানায়, পুলিশের সঙ্গে আসা কিছু লোক গুলি করেছে। এটা তারা দেখেছে। যারা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে তারা সবাই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিপক্ষের লোকজন। স্থানীয়দের অভিযোগ, মোটরসাইকেল আরোহী লোকজনের গুলির কারণেই বেশি হতাহত হতে পারে।

পুলিশ মাইকে ১৪৪ ধারা জারির কথা ঘোষণার পরও কেন লোকজন জড়ো হলো—এমন প্রশ্নে স্থানীয়রা বলে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে-বিপক্ষে সমাবেশের কথা মাইকে প্রচার হয়েছে। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারি করে সমাবেশ নিষিদ্ধ করার কোনো প্রচারণা এলাকায় হয়নি। কিন্তু বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং থানা-পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারির বিষয়ে মাইকিং করার দাবির কথা শুনে স্থানীয়রা বলে, ‘আমরা সমাবেশ নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে মাইকিং শুনিনি। আর ১৪৪ ধারা জারির বিষয়ে মাইকিং হলে এত লোক সমাবেশস্থলে যাবে কেন? প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিজদের দোষ ঢাকতেই এখন ১৪৪ ধারার বিষয়ে মাইকিং করা হয়েছে বলে প্রচার করছেন।’

সরেজমিন বাঁশখালী :  ঘটনাস্থল মুজিবকিল্লায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সড়ক থেকে অন্তত ৮-১০ ফুট ওপরে অবস্থান। সড়ক থেকে ওপরে মাঠ খুব একটা দেখা যায় না। সড়কের পাশেই একটি চা দোকান। গতকাল দুপুরে স্কুলটি ফাঁকা দেখা গেছে। কয়েক গজ দূরে যেতেই দুজন পথিকের দেখা মিলল। তাদের চোখ-মুখে উৎকণ্ঠা। ‘কিভাবে মানুষ মারা গেল’ প্রশ্ন করতেই এক কিশোর সামনের দিকে ইশারা করে দেখাল, ‘ওদিকে দুজনের লাশ পড়েছিল। আর এইখানে (তিন-চার হাত দূরে) পড়েছিল একজন। অন্যজনের লাশ পড়েছে ওই টিনের কাছে।’ সামনে দৃষ্টি দিতেই দেখা গেল, ২০ গজ দূরে গ্রামীণ মাটির সড়কের পাশে টিনের ঘেরা। নতুন কয়েকটি টিন দিয়ে ঘেরা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু টিনগুলো সব এবড়োখেবড়ো হয়ে গেছে। আঘাতের স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে টিনে। এই পথিকদের দাবি, লাশ আরো বেশি পড়েছে। পুলিশ নিয়ে যাবে, এ কারণে দ্রুত সরিয়ে নিয়েছে লোকজন।

কতজনের লাশ?—প্রশ্ন শুনে একজন বলল, ৯ জনের লাশ। তার পাশে থাকা লোকটি বলল, ‘না, না। সাতজনের লাশ।’

তবে চারজনের বেশি লাশের বিষয়ে কালের কণ্ঠ’র পক্ষ থেকে অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এস আলমের প্রকল্প কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল, তালা দেওয়া। বঙ্গোপসাগরের তীরে ওই কার্যালয়ে প্রকল্পের কোনো শ্রমিক-কর্মকর্তা নেই। মাটি খননযন্ত্র এসকেভেটরগুলো অলস পড়ে আছে। কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদী গ্রামবাসীর মধ্যে কেউ ব্যারিকেড দিয়েছে। সেখানে কথা হয় আবদুর রহমানসহ কয়েকজনের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, বুকের রক্ত দিয়ে হলেও বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ বন্ধ করবে গ্রামবাসী। ‘কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প হলে ক্ষতি কি?’ প্রশ্ন শুনেই কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প হলে এলাকায় বসত করা যাবে না। আমাদের বসতভিটা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হবে। এখন আমাদের জমি বাবদ যে টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেই টাকায় অন্য এলাকায় গিয়ে জমি কেনা যাচ্ছে না। কারণ সেখানে জমির দাম বেশি। তাহলে আমরা যাব কোথায়?’

এই সময় পায়ে আঘাত পেয়ে পঙ্গুত্ববরণকারী গ্রাম পুলিশ সদস্য জাফর আহমদ অভিযোগ করেন, ‘আমি পৈতৃক ভিটেমাটি বিক্রির টাকা পাইনি। অন্য একজন ওয়ারিশ সেই টাকা নিয়ে গেছে। এখন বেড়িবাঁধ এলাকার ঝুপড়ি ঘরে বাস করি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, মাথাখিলা জমির (মালিকানা জমির সামনে বঙ্গোপসাগরের দিকে যে জমি ভেসে ওঠে সেই জমিকে মাথাখিলা বলে) মূল্যও আমি পাইনি। আমার মতো অনেকেই জমির ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়েছে।’

লাশে ছররা গুলির চিহ্ন : ঘটনার পর স্থানীয়দের তোলা মরদেহের ছবিতে দেখা গেছে, শরীরের একাধিক স্থানে ছররা গুলির চিহ্ন আছে। তাঁরা ভারী অস্ত্রের আঘাতে মারা গেছেন। পুলিশ কর্মকর্তারা দাবি করছেন, তাঁরা আত্মরক্ষার্থে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছেন, পরে চায়নিজ রাইফেল থেকে গুলি ছুড়েছেন। কিন্তু দেশীয় বন্দুক থেকে ছররা গুলি ছোড়া হয়নি। এর পরও নিহতদের শরীরে ছররা গুলির চিহ্ন কিভাবে এলো জানতে চাইলে সাতকানিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ কে এম এমরান ভুঁইয়া গতকাল বাঁশখালী থানায় বসে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নিহতদের শরীরের গুলির চিহ্ন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ওগুলো ছররা গুলি। যে গুলির চিহ্ন নিহতদের শরীরে দেখা গেছে, সেই অস্ত্র পুলিশ ব্যবহার করে না। সেগুলো অন্য কেউ ব্যবহার করেছে। কারা ছররা গুলি ছুড়েছে সে বিষয়টি মামলার তদন্ত পর্যায়ে বেরিয়ে আসবে এবং সংশ্লিষ্ট অস্ত্র ব্যবহারকারীকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।’

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ চায়নিজ রাইফেল থেকে প্রথমে ফাঁকা গুলি ছুড়েছে, পরে পায়ের নিচে গুলি চালিয়েছে। সেই কারণে আহতদের মধ্যে কারো পায়ে যদি একটি গুলির চিহ্ন থাকে, তবে সেটি পুলিশ কিংবা আনসার সদস্যদের ছোড়া গুলি হতে পারে। কোনো অবস্থাতেই ছররা গুলি ছোড়া হয়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে।

দুই পক্ষে ফের কর্মসূচি : গণ্ডামারার রহমানিয়া মাদ্রাসায় গতকাল অনুষ্ঠিত সভায় কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপক্ষে নেতৃত্বদানকারী গণ্ডামারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী উপস্থিত ছিলেন। সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চেয়ে লিয়াকত আলীকে ফোন করা হলে অন্য প্রান্ত থেকে আবু আহমেদ নামের একজন ফোন ধরেন। তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান একটু দূরে আছেন?’ এই বলেই ফোন রেখে দেন তিনি।

পুলিশ নেই : গতকাল গণ্ডামারা ইউনিয়নের অন্তত ১২ কিলোমিটার পথ ঘুরে কোথাও পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁশখালী থানায় বসে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখন গণ্ডামারায় পুলিশ গেলে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হতে পারে। সেখানকার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। এ ছাড়া অতীতের মতো সড়কে ব্যারিকেড দেওয়ার ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার কৌশল হিসেবে এলাকায় পুলিশ নেই।’

পুলিশহীন এলাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্র বিরোধীরা গতকাল দুপুরেও মিটিং করেছে এবং বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজে বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে—এমন তথ্যের বিষয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সরকারি প্রকল্পে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ নির্বিঘ্নেই হবে।’ তিনি বলেন, ‘রহমানিয়া মাদ্রাসায় স্থানীয়দের সভার বিষয়টি জানা গেছে। এ বিষয়ে পুলিশ খোঁজখবর রাখছে।’

ওদিকে বাঁশখালী উপজেলা সদরে গতকাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।

বাঁশখালীতে আজ হরতাল : গুলিতে হতাহতের ঘটনায় আজ বুধবার বাঁশখালী উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে ছাত্র ঐক্য ফোরাম। গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ হরতালের ডাক দেন ফোরামের আহ্বায়ক শাহনেওয়াজ চৌধুরী।

মানববন্ধনে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাঁশখালী ছাত্র ঐক্য ফোরাম, বাঁশখালী স্বপ্নতরী সংঘ, গণসংহতি সমিতি চট্টগ্রামসহ বেশ কিছু সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুনসহ অংশ নেন। কালের কন্ঠ

 

পাঠকের মতামত: