ঢাকা,রোববার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় বিজিবি সদস্য হেলাল হত্যা মামলায় জেলা আ.লীগ নেতা গিয়াস কারাগারে

এম জাহেদ চৌধুরী, চকরিয়া ::   কক্সবাজারের পেকুয়ার বহুল আলোচিত বিজিবি সদস্য (অব:) হেলাল উদ্দিন হত্যা মামলায় কারাগারে গেলেন জেলা আ’লীগের সদস্য এসএম গিয়াস উদ্দিন। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) কক্সবাজারের জেলা দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবির মাধ্যমে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
গিয়াস উদ্দিন পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের শেখের কিল্লা ঘোনা এলাকার মৃত ছালেহ আহমদের ছেলে। তিনি ৯০ দশকের চট্টগ্রাম আইন কলেজ ছাত্রলীগের ভিপি ছিলেন। ২০০৯ সালে পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ও বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহ প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তবে নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন।
পুলিশ সুত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারী বিজিবি সদস্য হেলাল উদ্দিনকে হত্যা করা হয়। ওই হত্যার অভিযোগে নিহতের বড় ভাই মমতাজ উদ্দিন বাদি হয়ে ২১জনকে আসামী করে ২৩ জানুয়ারী থানায় মামলা দায়ের করেন। মাত্র ১ সপ্তাহের মধ্যে মামলাটি পিবিআই’র কাছে হস্তান্তর হয়। পিবিআই দীর্ঘ ২ বছর তদন্ত করে ২ মাস আগে হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগে ৫০জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রথম এজাহারে গিয়াস উদ্দিনের নাম ছিলো না। পিবিআই’র তদন্তে নতুন ২৯ জনের সাথে জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এসএম গিয়াস উদ্দিনের নাম উঠে আসে।
গিয়াস উদ্দিনের আইনজীবী নুরুল ইসলাম বলেন, হেলাল হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা এসএম গিয়াস উদ্দিন। আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হলে বৃহস্পতিবার তিনি জেলা দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এসময় তিনি জামিন আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী মমতাজ উদ্দিন বলেন, আমার ভাই হেলাল উদ্দিনকে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করি। পরে মামলাটি পিবিআই অধিকতর তদন্ত করে গিয়াস উদ্দিনের সংশ্লিষ্টতা পায়। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

পাঠকের মতামত: