ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে পাহাড় কাটার ধুম!

pahar-khata-300x144পেকুয়া প্রতিনিধি :::

কক্সবাজারের পেকুয়ায় পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে পাহাড় কাটার ধুম। এনিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন গুঞ্জন। ঘটনাটি ঘঠছে, উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের মাঝেরঘোনা ও বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী নামক এলাকায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের মাঝেরঘোনা এলাকার ৪/৫টি স্পটে স্থানীয় চিহ্নিত একটি প্রভাবশালী চক্র পেকুয়া থানা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে নির্বিচারে পাহাড় কেটে মাটি ও বালি পাঁচার করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। একই সাথে ওই গ্রামের জারুলবুনিয়া থেকেও সেখানকার মৃত গোলাম সুলতানের পুত্র মহিউদ্দিন, মৃত আহমদ হোসনের পুত্র মোঃ আমিন, আসিফ, বাদশা বরো বদি আলম মেস্ত্রী, মৃত বজল আহমদের পুত্র ছাবের আহমদ, মৃত আলী আহমদের পুত্র মোস্তাক আহমদের নেতৃত্বে ১৫-২০জনের একদল লোক ওই এলাকার প্রবাহমান ছড়া থেকে নির্বিচারে খনিজ সম্পদ বালি আহরণ করে পাঁচার বাণিজ্যে লিপ্ত। যার ফলে, সরকার শুধু লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিতই হচ্ছেনা উপরন্তু ওই এলাকায় বন ও পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি সরকারের লক্ষ কোটি টাকা অর্থায়নে নির্মীত বিভিন্ন ব্রীজ, সেতু, কার্লভাট, রাস্তাঘাট সহ গ্রামীন অবকাটামোয় দেখা দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ধ্বস ও ফাটল। এমন গুরুতর অভিযোগের সূত্র ধরে সরোজমিনে গিয়ে পাহাড় কেটে মাটি ও বালি পাঁচার এবং খনিজ সম্পদ পাঁচারে জড়িতদের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তারা বলেন, স্থানীয় পেকুয়া থানা পুলিশের মেচ পরিচালক কাসেমকে দিন, মাসোহারা ছাড়াও টিপ প্রতি গাড়ি হিসাব করে ১০০/২০০টাকা হারে দিয়ে তাদের ব্যবসা চালাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত কাসেমের কাছে জানতে চাইলে সে সবকিছু ওসি’কে জানিয়েই করছেন বলে মন্তব্য করেন। পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়ার কাছে জানতে চাইলে, থানা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে পাহাড় কাটা ও বালি উত্তোলন পাঁচার ঘটনার বিষয়টি তিনি অবগত নয় জানিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

পাঠকের মতামত: