পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় প্রশংসনীয় উদ্যেগ নিলেন নারী এসিল্যান্ড। সরকারী মালিকানাধীন জায়গা থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে ১৬ টিরও অধিক অবৈধ বসতি। নদীর চর দখলে দিয়ে এক শ্রেনীর প্রভাবশালী ভূমিদস্যুচক্র হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। এতে করে পেকুয়া উপজেলার উপকুলবর্তী জেগে উঠা নদীর চর দখলের মহোৎসব চলছে। গত কয়েক মাসের ব্যবধানে কাটাফাড়ি নদী ও ভোলাখালের তৎসংলগ্ন স্থানে শত শত একর জমি বেহাত হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগের। এ সব ভূমি জবরদখল ও বিক্রির হিড়িক চলছে পেকুয়ায়। প্লট আকারে বিক্রি করে টাকা পকেটে গেছে প্রভাবশালীর। এ দিকে এ সব অবৈধ বসতি উচ্ছেদের উদ্যেগ নিয়েছেন পেকুয়ার সহকারী কমিশন ভূমি। গতকাল ৬ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সহকারী কমিশন ভূমি সালমা ফেরদৌস অবৈধ বসতি উচ্ছেদে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ সময় উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের মটকাভাঙ্গা এলাকায় ১৬ টি অবৈধ বসতি গুড়িয়ে দিয়েছে। কাটাফাড়ির নদীর জেগে উঠা চর দখল করে এ সব অবৈধ বসতি নতুন করে গড়ে উঠেছে। গত কয়েক দিন আগে এ সব অবৈধ বসতির সচিত্র প্রতিবেদন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। পেকুয়ায় অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করতে সর্বমহল থেকে ডাক উঠে। ওই দিন দুপুরে পেকুয়ার নারী এসিল্যান্ড পুলিশসহ ওই স্থানে উপস্থিত হন। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ওই দিন কালু, লিয়াকত আলী, কবির আহমদ, নুর কালাম, গুরামিয়া সহ অবৈধ দখলে থাকা ১৭ টি ঝুপড়ি ঘর উচ্ছেদ করা হয়। পেকুয়ায় উজানটিয়া ইউনিয়নের ষাটদুনিয়াপাড়া এলাকায় সম্প্রতি সরকারী জায়গা দখলের উৎসব দেখা দিয়েছে। ওই এলাকার আমিরুজ্জামানের ছেলে মাইনুল ইসলাম মানিক ও তার ভগ্নিপতি পেকুয়ারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন করিমদাদ মিয়া জেটি ঘাট কাটাফাড়ি সড়কের ষাটদুনিয়াপাড়া পয়েন্টে সরকারের ১ নং খাস খতিয়ানভূক্ত জমি বিক্রি করে দিয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ওই স্থানে ১০ টির অধিক বসতি তৈরী হয়েছে। এমনকি নতুন করে বসতি তৈরী করতে মাটি কেটে ঘরভিটা তৈরীর কাজ চলমান আছে। সরকারী জায়গা হলেও জমি সড়কের লাগোয়া। সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে। নন জুড়িশিয়াল ষ্ট্যাম্পমুলে দখলে দিয়ে লাখ লাখ টাকা শ্যালক ও ভগ্নিপতির পকেটে। এ সব উচ্ছেদ করতে সর্বমহল থেকে জোরালো দাবী উঠছে। সহকারী কমিশন ভূমির উচ্ছেদ এ অভিযানকে সাহসীক ও সর্বজন প্রশংসনীয় উদ্যেগ হিসেবে দেখছেন পেকুয়ার মানুষ। অভিযানের সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা অফিসের কানুনগো, সার্ভেয়ার, অফিস সহকারী, পেকুয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাসহ ভূমি অফিসের সকল কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পেকুয়া থানা পুলিশ অভিযানে সহায়তা করেছেন।
##############
পেকুয়া চৌমুহনী দুটি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি
পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়া উপজেলা সদরে অবস্থিত পেকুয়া মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মার্কেটে দুটি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত ৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে এ পেকুয়া থানার ৫০ গজের ভিতর এ ঘটনা ঘটে। এ সময় চোরের দল হুমায়ুনের দোকান েেওে রিপনের দোকানে ৮ টি তালা ভেঙ্গে ঢুকে পড়ে। দুর্ধর্ষ চোরের দল নাইট গার্ডকে ফাকি দিয়ে হুমায়ুনের মালিকানাধীন একটি ল্যাপটপ ও মুন্সি শওকতুল ইসলামের দলিলের পে অর্ডারের ক্যাশ ৮১ হাজার টাকা নিয়ে যায়। দোকানের মালিক হুমায়ুন পেকুয়া চৌমুহনীর নৈশ প্রহরীকে দায়ী করেন। এ ব্যাপারে পেকুয়া চৌমুহনীর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রাফিউল করিম মিন্টু জানান, আমি চোরের ঘটনা শুনেছি। তবে ঢাকা অবস্থান করায় বিস্তারিত বলতে পারছি না।
#############
পেকুয়ায় পানি ঢুকিয়ে যুবলীগ নেতার লবণ মাঠ তলিয়ে দিল দুবৃর্ত্তরা
পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় লোনা পানি ঢুকিয়ে ১০ একরেরও অধিক লবণ মাঠ তলিয়ে দিল দুবৃর্ত্তরা। ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করছিল একটি চক্র। এ নিয়ে যুবলীগ নেতার সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে রাতে বাঁধ কেটে জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় তারা। এতে চলতি মৌসুমে লবণ মাঠে উৎপাদিত লবণসহ ব্যাপক ক্ষতি সাধন করতে ওই চক্র রাতে পানি ঢুকিয়ে দেয় মাঠে। গত ৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের করিয়ারদিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে চিংড়ি প্রজেক্টের মালিক ও লবণ উৎপাদনকারী ওই এলাকার মৃত আনছার উদ্দিনের ছেলে যুবলীগ পেকুয়া উপজেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি জিয়াবুল হক জিকু পেকুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে জানা যায়, ওই দিন রাতে করিয়ারদিয়ায় তার মালিকানাধীন চিংড়ি ঘের ও লবণ চাষের জমিতে পানি প্রবেশ করা হয়েছে। একই এলাকার আজিজুল হক, হারুনুর রশিদ, রুহুল আমিন, মোর্শেদ আলমসহ কিছু দুবৃর্ত্তরা আমার কাছ থেকে চাঁদা দাবী করছিল। এ নিয়ে ২৯ নভেম্বর চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশি অভিযোগ দিই। আসামীরা আরো অধিক ক্ষিপ্ত হন আমি মামলা করায়। গত ৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে আজিজুল হকসহ অপরাপর আসামীরা আমার জমিতে লোনা পানি ঢুকিয়ে দেয়। তারা রাতে অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে করিয়ারদিয়ায় আমার চিংড়ি প্রজেক্ট ও লবণ চাষের জমিতে হানা দেয়। এ সময় লবণ উৎপাদনের জন্য মাঠে পলিথিন সেচপাম্প সহ বিপুল পরিমাণ দ্রব্যাদি নিয়ে যায়। চিংড়ি প্রজেক্টের বাসায় রাতে আমার এক কর্মচারী দেলোয়ার সেখানে অবস্থান নেয়। তারা তাকে অস্ত্র তাক করে এ সব লুট করে। তাকে মারধরও করা হয়। জমিতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় লবণ মাঠের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তারা আমিসহ করিয়ারদিয়ার লবণচাষী ও চিংড়ি চাষীদের জিম্মী করেছে। তারা ভয়ংকর সন্ত্রাসী। প্রত্যেকর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা মোকাদ্দমা রয়েছে। nupc
পাঠকের মতামত: