নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় এক সপ্তাহেও খোঁজ মেলেনি অপহৃত স্কুলছাত্রী আরজু বেগমের (১৭)। গত ৫ ডিসেম্বর রাতে অপহরণ করা হয় ওই ছাত্রীকে।
তার বাড়ি উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম উজানটিয়া ঘোষালপাড়ায়। আরজু বেগম (১৭) ওই এলাকার নুরুল ইসলামের মেয়ে। চলতি ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এস.এস.সি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। মেয়েটি উজানটিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার পরীক্ষা দিয়েছে। এ ব্যাপারে অপহৃত স্কুল ছাত্রী আরজু বেগমের ভাই অলি আহমদ প্রকাশ কালু পেকুয়া থানায় লিখিত এজাহার রুজু করেন।
স্থানীয় সূত্র জানান, ৫ ডিসেম্বর উজানটিয়া ইউনিয়নের ঘোষালপাড়া থেকে রাতে অপহৃত হন ওই এলাকার নুরুল ইসলামের মেয়ে আরজু বেগম। ওই দিন রাতে একই ইউনিয়নের মিয়াপাড়ার গিয়াস উদ্দিনের পুত্র মিজান আকবর, মৃত নুরুল হকের পুত্র মহিউদ্দিনসহ দুবৃর্ত্তরা আরজু বেগমকে রাতে টানা হ্যাঁচড়া করে ঘোষালপাড়া থেকে অপহরণ করে। মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তাকে একটি সিএনজিতে তুলে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে আরজু বেগম নিখোঁজ রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অনেক স্থানে খোঁজাখোঁজির পরও কোথাও সন্ধান মিলেনি তার।
থানায় লিখিত এজাহারের আর্জিতে বাদী অলি আহমদ প্রকাশ কালু উল্লেখ করেছেন, তার ছোট বোন আরজু বেগমকে অপহরণ করা হয়েছে। এবারের এস.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আরজু বেগম উজানটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। স্কুলে যাওয়া-আসার সময় আরজু বেগমকে প্রায় সময় প্রেমের প্রস্তাবসহ উত্ত্যক্ত করা হত। গিয়াস উদ্দিনের ছেলে বখাটে মিজান আকবরসহ আরও ২-৩ জন আমার বোনকে ওই দিন রাতে ঘোষালপাড়া থেকে অপহরণ করেছে। মুখ ছেপে ধরে তারা ইচ্ছার বিরুদ্ধে আরজু বেগমকে গাড়িতে করে রাতে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, আমার ধারণা- মিজান আকবরসহ দুবৃর্ত্তরা আমার বোনকে শ্লীলতাহানিসহ ধর্ষণ করেছে। এমনকি তাকে খুন করে গুম করার আশঙ্কা করছি আমরা।
আরজু বেগমের বড় ভাই তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী তামান্না জানান, আমার ননদকে ৭ দিন ধরে পাওয়া যাচ্ছে না। মিজান আকবর তাকে অপহরণ করেছে।
মুজিবুর রহমানের স্ত্রী আকলিমা বেগম জানান, মিজান আকবর আরজুকে তুলে নিয়ে গেছে। আমরা জানতে পেরেছি ওই ঘটনায় জড়িত মিজান আকবর এখন বিদেশ পালানোর চেষ্টা করছে।
মা বুলু আক্তার জানান, আমার মেয়েকে অপহরণ করেছে। মেয়েকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না।
জেঠা মোহাম্মদ আলম জানান, ১ সপ্তাহ হচ্ছে ভাইজিকে পাওয়া যাচ্ছে না। গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তাকে নিয়ে গেছে। আমরা পুলিশকে বিষয়টি লিখিত জানিয়েছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল হোসেন জানান, থানায় গিয়ে আইনি সহযোগিতা চাওয়ার জন্য আমি পরামর্শ দিয়েছি।
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তাজ উদ্দিন জানান, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে, তদন্তের পর বলা যাবে।
পাঠকের মতামত: