নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়া :: পেকুয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী জয়প্রকাশ চাকমা ও কম্পিউটার অপারেটর বাহাদুরের বিরুদ্ধে ডিপ টিউবওয়েল ও ল্যাট্টিন দেওয়ার কথা বলে ৫ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জন্নাতুল তাহামিনা সিমু জানান, মগনামার মটকাভাংগা গ্রামের মো: আজমগীর, রাজাখালীর সুন্দরীপাড়ার আলী আকবরের পুত্র মনজুর আলম, পেকুয়া ইউনিয়নের সাবেকগুলদি গ্রামের নুরুল কবিরসহ সর্বমোট ১৬ টি ডিপটিউবওয়েল ও ২২ টি পাকা ল্যাট্টিন দেওয়ার কথা বলে পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী জয়প্রকাশ চাকমা ও একই অফিসের কম্পিউটার অপারেটর বাহাদুর মিলে ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। দেড় বছর আগে ওই টাকাগুলো লোকজনের সামনে দেয়া হয়। টাকা প্রদানের পর ফিল্ড অফিসার ফোরকান, আনিছ, বদি আলম স্থানসমুহ পরিদর্শন করেন।
পূর্ব মেহেরনামার মনচুর বলেন, আমি ৫ টি ডিবটিউবওয়েল ও ৬ টি ল্যাট্টিন পাবার আশায় ২ লক্ষ টাকা প্রদান করি। বিগত ২ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও এখনও ডিপটিউবওয়েল পাওয়া যায়নি।
রাজাখালী ইউনিয়নের উত্তর সুন্দরীপাড়ার ছৈয়দুল হকের পুত্র আবদুল মালেক, আলী আকবরের পুত্র মনজুর আলম, শিলখালীর দোকানপাড়ার মোর্শেদসহ আরো অনেকে বলেন, ডিপটিউবওয়েলের আশায় সিমু আপার মাধ্যমে আমরা প্রতিজনে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীকে প্রদান করি। বর্তমানে আমরা ডিপটিউবওয়েল অথবা পাওনা টাকা পেতে চাই।
এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্যের উপসহকারী প্রকৌশলী জয়প্রকাশ চাকমা জানান, এ ভাবে টিউবওয়েল দেওয়া যায় না। টিউবওয়েল দেওয়ার জন্য উপজেলায় একটি কমিটি আছে। তারা যাচাই বাছাই করে টিউবওয়েল দেবে। তিনি ভূক্তভোগীদের নিকট থেকে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসের কম্পিউটার অপারেটর বাহাদুর জানান, আমি টিউবওয়েল দিতে পারি না। সরকারী টিউবওয়েল নীতিমালার মাধ্যমে দেওয়া হয়। তিনি টিউবওয়েল ও ল্যাট্টিন দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, প্রয়োজনে ভূক্তভোগীদের নিয়ে আমার অফিসে আসেন।
পাঠকের মতামত: