পেকুয়া প্রতিনিধি ::
পেকুয়ায় উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব পেলেন উম্মে কুলসুম মিনু। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করে। স্থানীয় সরকার বিভাগ উপজেলা -২ শাখা এ সম্পর্কিত একটি আদেশ দেয়। ওই আদেশের অনুবলে পেকুয়ায় উপজেলা পরিষদের দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উম্মে কুলসুম মিনুকে চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার পালনের জন্য আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা-২ শাখা উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস নোট থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। ১২ জুন (বুধবার) ওই শাখা থেকে এ পরিপত্রটি প্রেরিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার বরাবর এ আদেশটি পৌছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের ওই শাখা এ পরিপত্রটি অনুলিপিসহ বিভাগীয় কমিশনের কার্যালয় চট্রগ্রাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের একান্ত সচিবসহ এ সম্পর্কিত বিভিন্ন অধিদপ্তরেও এর চিঠি প্রেরন করা হয়েছে। চলতি ২০১৯ সালের ১২ জুন এ পরিপত্র স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের ওই শাখা প্রেরন করে। যার স্মারক নং-৪৬.০৪৫.০২৭.০৮.৫৩.০৫৩.২০১৫-৪৯৬। কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্মারক নং ২২৭, ১৬-০৫-১৯ ইং, সুত্রোক্ত স্মারকের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো হয়েছে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের কারাগারে অন্তরীন থাকার কারনে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিত কালীন পরিষদের কার্যক্রম সুষ্টুভাবে পরিচালনার স্বার্থে উপজেলা পরিষদ (কার্যক্রম বাস্তবায়ন) বিধিমালা ২০১০ এর অনুচ্ছেদ ১৫(২) অনুযায়ী মোছাম্মৎ উম্মে কুলসুম মিনু মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান (প্যানেল চেয়ারম্যান-১) কে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের আর্থিক ক্ষমতা নির্দেশক্রমে প্রদান করা হলো। এ দিকে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের দাপ্তরিক কার্যক্রম গত এক মাসের বেশী সময় পর্যন্ত স্থবির হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বর্তমানে কারান্তরীন। সুত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১৩ আগষ্ট র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব) অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র্যাব অস্ত্র ও বিপুল টাকা উদ্ধারসহ জাহাঙ্গীর আলম ও তার ৩ সহোদরসহ নিজ বাড়ি থেকে আটক হয়েছিলেন। র্যাব বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করে। যার জিআর নং ১২৩/১৭। পেকুয়া থানার মামলা নং-৪/১৭। ওই মামলায় জাহাঙ্গীর আলম ও তার সহোদরেরা জেলে ছিলেন। অস্ত্র উদ্ধারের এক মাসের মধ্যে জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হয়েছিলেন। চলতি বছরের ২৪ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্টিত হয়েছে। তিনি আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। ওই নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলম পেকুয়া থেকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। চলতি বছরের ৯ মে ওই মামলায় চুড়ান্ত রায় ঘোষিত হয়েছে। বিচারিক আদালতের হাকিম ওই মামলায় জাহাঙ্গীর আলমকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ রাখার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে। তাকে ২১ বছরের সাজা দেয় আদালত। ওই দিন জাহাঙ্গীর আলম আদালতে হাজির ছিলেন। আসামীর উপস্থিতিতে রায় ঘোষনা হয়েছে। সে সময় থেকে তিনি জেলে রয়েছেন।
পাঠকের মতামত: