ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

পাসপোর্ট জালিয়াতি করতে গিয়ে ধরা পড়ল দুই মহিলা, এক মাসের সাজা

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
কক্সবাজারে পাসপোর্ট জালিয়াত দুই মহিলাকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। ভিন্ন দুই মহিলার জন্ম নিবন্ধন সনদ, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট ও অনুষাঙ্গিক কাগজপত্রের সাথে নিজেদের ছবি সংযোজন করে পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আবেদন করার দায়ে গতকাল বুধবার দুপুরে কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে এদের আটক করে পুলিশ। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: নোমান হোসেন প্রিন্স রাতে এই দুইজন নারীকে মোবাইল কোর্ট এ বাংলাদেশ দন্ডবিধি এর ১৮৬ বিধি মতে ১ মাস এর কারাদন্ড প্রদান করেন। তাহারা উভয়ই জেলা পাসপোর্ট অফিস, কক্সবাজার এ ভুয়া নাগরিক সনদ ও জন্ম সনদ দাখিল পূর্বক পাসপোর্ট করতে গিয়েছেন। বিকাল আনুমানিক ৪ টায় এ জেলা পাসপোর্ট অফিসার তাদের কাগজপত্র দেখে সন্দেহ করে এবং তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাহারা উভয়ই মায়ানমার (রোহিংগা) এর নাগরিক। কক্সবাজার এর সকল চেয়ারম্যান, মেম্বার, ইউপি সচিব সহ সকলকে রোহিংগা বিষয়ে অধিকতর সজাগ থাকার জন্য বলা হলো। যদি কেহ রোহিংগাদেরকে এদেশের নাগরিক হতে কোনরুপ সহযোগিতা করেন তবে তাহার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসন, আইনশৃংখলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলে এই বিষয়ে তৎপর রয়েছেন। কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সূত্রে প্রকাশ, উখিয়া উপজেলার মরিচ্যা পালং ইউনিয়নের রুমখাঁ নতুন পাড়ার অলী আহমদের দুই মেয়ে ছেনুয়ারা ও তৈয়বা বেগমের নামে জন্ম নিবন্ধন সনদ, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট ও অন্যান্য কাগজপত্র সহকারে দুইটি পাসপোর্ট আবেদন জমা দেয়ার জন্য জমা কাউন্টারে দাঁড়ায় দুই মহিলা। সহকারী পরিচালক আবু নাঈম মাসুম নিজেই এসময় আবেদন কাউন্টারে বসে পাসপোর্ট আবেদন জমা নিচ্ছিলেন। সহোদরা দুই বোনের নামে আবেদন ফাইল দুটি’র কাগজ পত্র, কথাবার্তা ও মহিলাদ্বয়ের মুখাবয়বে অসঙ্গতি দেখে সন্দেহ হলে দুটি ফাইলই আটকে রাখেন তিনি। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আপন বোন নয় বলে স্বীকার করে ও পরস্পর চাচাতো বোন বলে দাবী করলে জালিয়াতির বিষয়টি স্পষ্ট হয়। এভাবে অন্যের নামীয় কাগজপত্রের সাথে নিজেদের ছবি লাগিয়ে পাসপোর্ট জালিয়াতি প্রচেষ্টার বিষয়টি প্রমানিত হলে এরপর তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। জালিয়াত দুই মহিলা বর্তমানে সদর মডেল থানা হাজতে আটক আছে ও এদের বিরূদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। তাদের প্রকৃত পরিচয় পাওয়া যায়নি। কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আবু নাঈম মাসুম উপরোক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অত্র অফিসে প্রতিদিন প্রতিটি পাসপোর্ট আবেদন গ্রহন থেকে প্রসেসিং ও ডেলিভারী পর্যন্ত প্রত্যেক ধাপে নিবিড় তদারকির ফলে এদের আটক করা সম্ভব হয়েছে। পাসপোর্ট সেবাকে হয়রানিমুক্ত ও দালালমুক্ত করার জন্য সার্বিক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: