পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে লেখাপড়ায় সাফল্যের চাপ সাংঘাতিক। ফলে পরীক্ষার সময় প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্যে থাকতে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের।
চীনা ছাত্র-ছাত্রীরা লাল জাঙ্গিয়া পরে পরীক্ষা দিতে যায়
জাপানে গরম ভাতে ডিম
জাপানে ভালো ফলাফলের আশায় পরীক্ষার আগের রাতে বা যাওয়ার আগে গরম এক বাটি ভাতের সাথে ভাজা ডিম খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। ডিমের সাথে অনেক সময় শুয়োরের মাংসের কড়া ভাজা কাটলেট থাকে।
এই খাবারটির নাম “কাটসুডোন”। জাপানি ভাষায় “কাটসু” শব্দটির অর্থ জিতে যাওয়া।
কবে চকলেট বার কিটক্যাট খেলে পরীক্ষায় ভালো করা যায় – সুইস কোম্পানি নেসলে এরকম একটি প্রচারণা চারিয়ে যাচ্ছে জাপানে।
জাপানি ভাষায় “কিট্টো কাটসু” শব্দের অর্থ নিশ্চিত বিজয়। এই শব্দের সাথে তাদের নামের মিল থাকার সুযোগ নিচ্ছে কিট-ক্যাট।
মাথা ধোয়া নিয়ে ভীতি
দক্ষিণ কোরিয়ায় বহু পরীক্ষার্থী পরীক্ষার আগে মাথা ধোয়না। তাদের বিশ্বাস মাথায় পানি দিলে সমস্ত শিক্ষা ধুয়ে চলে যাবে।
পরীক্ষার ঠিক আগে মিষ্টি খাওয়ারও চল রয়েছে কোরীয়দের মধ্যে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় অন্যতম জনপ্রিয় খাবার সমুদ্রের তলে জন্মে এমন এক ধরণের ঘাসের তৈরি সুপ। কিন্তু পরীক্ষার দিন অনেকেই সেদিকে তাকাবেই না। তাদের বিশ্বাস, পরীক্ষার আগে এই সুপ খেলে পরীক্ষার হলে কিছুই মনে আসবে না।
পরীক্ষার আগে আপেল
হংকংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যান্টিনে পরীক্ষার আগে ছাত্র-ছাত্রীদের আপেল বা আপেলের তৈরি খাবার দেওয়া হয়।
চীনা ভাসায় আপেলকে বরা হয় “পিং গুয়ো” যার অর্থ “নিরাপদ”। সুতরাং চীনা ছাত্র ছাত্রীদের বিশ্বাস আপেল খেলে পরীক্ষায় পাশ নিরাপদ হবে।
চিকেন পাওয়ার
মালযেশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকংয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় বহু ছাত্র-ছাত্রী মুরগির মাংসের সুপ খায়।
তাদের বিশ্বাস এতে তাদের মস্তিষ্কের মনে রাখার ক্ষমতা বাড়বে। বিশেষ করে সিঙ্গাপুরে ছাত্রদের মধ্যে চিকেন সুপ খেতে ব্যাপক প্রচার চালানো হয়।
লাল জাঙ্গিয়া
চীনাদের কাছে লাল হচ্ছে সৌভাগ্যে রং। ফলে পরীক্ষার দিনগুলোতে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে লাল রংয়ের পোশাক পরার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য বিশেষ করে লাল অন্তর্বাসের প্রতি অগাধ বিশ্বাস রয়েছে চীনাদের মধ্যে।- বিবিসি
পাঠকের মতামত: