ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পরিচালকের জিহ্বা ছিঁড়ে ফেলার হুমকি সিমলার!

simlaআবারও শিডিউল ফাঁসালেন চিত্রনায়িকা সিমলা। শুধু তাই নয়, বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে পরিচালকের জিহ্বা টেনে ছিঁড়ে ফেলারও হুমকি দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

রুবেল আনুশের পরিচালনায় আজ সকাল থেকে ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ ছবির শেষ লটের শুটিং হওয়ার কথা ছিল। মাত্র একদিনের এই শুটিংয়ের জন্য সিমলা এর আগে গত ৮ আগস্ট শিডিউল দিয়েছিলেন।

 সকাল ৮টায় কলটাইম অনুযায়ী রাজধানীর পুরান ঢাকায় পরিচালক ইউনিট নিয়ে বসে ছিলেন। কিন্তু, বিকাল পর্যন্তও তিনি নায়িকা সিমলার দেখা পাননি।

 সবাই ইউনিটে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে যান। কিন্তু, নায়িকার ফোন ছিল বন্ধ। সকাল গড়িয়ে দুপুর পার হলে পরিচালক বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন। প্রযোজকের ব্যাপক অংকের লোকসান এড়াতে সকালেই ইউনিট থেকে সিমলার বাসায় গাড়ি পাঠানো হয়।

 সেই গাড়িতে করে সিমলা ঠিকই বাসা থেকে বের হন। কিন্তু, ফোন বন্ধ রেখে ইউনিটের গাড়ি ব্যবহার করে সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ব্যক্তিগত কাজ সারেন তিনি।

শেষে বিকাল ৫টায় পুরান ঢাকার সেটে পৌঁছান সিমলা। ততক্ষণে দিনের আলো শেষ হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে পরিচালক সেদিনের মতো শুটিং প্যাকআপ করেন।

 এতে কোনো ধরনের শুটিং ছাড়াই ৮ আগস্টের জন্য প্রযোজকের ক্ষতি হয় ৭০ হাজার টাকা। বিষয়টি নিয়ে সিমলার সঙ্গে বোঝাপড়ায় বসেন পরিচালক।

 সে সময় সিমলা বৃহস্পতিবার শুটিং করার কথা জানান। নিরুপায় হয়ে পরিচালক সেটা মেনেও নেন। সিমলার দেয়া সময়ানুযায়ী আজ সকাল থেকেই ইউনিট নিয়ে একই স্পটে বসে আছেন পরিচালক। কিন্তু, আজও  গাড়ি পাঠিয়ে সিমলার কোনো খবর নেই।

 ফোনে আসছি আসছি বলেও দুপুর ১২টা পর্যন্ত সেটে আসেননি তিনি। ফোনও ধরছেন না তিনি।

শেষবার ফোন ধরে বিরক্ত করার জন্য পরিচালককে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘বেশি কথা বললে টেনে জিহ্বা ছিঁড়ে ফেলব।’ এরপর সিমলা ফোন বন্ধ করে দেন।

 অন্যদিকে সকাল থেকেই সিমলাকে বহন করার উদ্দেশে যে গাড়িটি তার বাসায় পাঠানো হয়েছিল, সেটিও গায়েব রয়েছে।

 শেষবার ড্রাইভারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সিমলাকে নিয়ে বের হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

 তিনি আরও জানিয়েছেন, সিমলা তাকে নিয়ে আজও  নিজের ব্যক্তিগত কাজ করছেন।

এ ছবিতে অভিনয় করছেন প্রতিশ্রুতিশীল অভিনেতা শিমুল খান। নায়িকার অপেক্ষায় তিনিও ইউনিটে অপেক্ষা করছেন।

শিল্পীদের এ ধরনের অসহযোগিতার বিষয়ে শিমুল খান যুগান্তরকে বলেন, ‘শৈল্পিক মানসিকতা সম্পন্ন কোনো শিল্পী এটা করতে পারেন না। কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকলে তাকে দিয়ে আর যাই হোক, শিল্প চর্চা হয় না। প্রযোজক, পরিচালকের ক্ষতি করাটা কখনও কাম্য নয়। একজন শিল্পী হিসেবে এটা মেনে নেয়া আমার পক্ষে কঠিন।’

সিমলার সিডিউল ফাঁসানোর ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও বহু ছবির সিডিউল ফাঁসিয়েছেন, যার কারণে তাকে নিয়ে কেউ কাজ করতে আগ্রহী নন।

 এ বিষয়ে পরিচালক রুবেল আনুশ জানান, মাত্র একটি গান ও কয়েকটি দৃশ্যের শুটিং করলেই ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ ছবির কাজ শেষ হয়ে যেতো। কিন্তু, সিমলার এমন অসৌজন্য আচরণে ৮ আগস্টের মতো আজও প্রযোজকের প্রায় এক লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে গেল।

 বিষয়টি নিয়ে তিনি আইনি ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানিয়েছেন।

 এ ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন- আবুল হায়াত, শিমুল খান, পুলক, বাপ্পী, লাবণী, সাদিয়া, আলিফ, মুসা, টুটুল চৌধুরী, আফরিন প্রমুখ।

 

পাঠকের মতামত: