ঢাকা,শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জে প্রতীকী কাবা শরিফ বানিয়ে তাওয়াফ প্রশিক্ষণ! ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড়

অনলাইন ডেস্ক ::  নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রতীকী কাবা শরিফ ও মাকামে ইব্রাহিম বানিয়ে পাঁচ শতাধিক হজ যাত্রীকে বিনামূল্যে হজ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। গত ২২ জুন মারুফ শারমিন স্মৃতি সংস্থার উদ্যোগে উপজেলার যাত্রামুরা এলাকায় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে। হজ প্রশিক্ষণের নামে এবারই প্রথম কোনো চিত্র সামনে আসল যেখানে পবিত্র কাবা শরিফের প্রতীকী বানিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, মারুফ শারমিন স্মৃতি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি লায়ন মোজাম্মেল হক ভুঁইয়ার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন- রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি লায়ন মীর আব্দুল আলীম, মারুফ শারমিন স্মৃতি সংস্থার সহসভাপতি হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া, আলহাজ জিয়াউল হক প্রমুখ। এ সময় নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে হজে যেতে ইচ্ছুক পাঁচ শতাধিক মানুষকে হজের সব নিয়ম-কানুন শেখানো হয়।

এ বিষয়ে রাজধানীর বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্স সেন্টারের মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি আরশাদ রহমানী প্রতীকি কাবা তৈরি ও প্রশিক্ষণ প্রদান স্পষ্ট হারাম বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কাবা শরিফ পৃথিবীতে একটিই। এমন করে প্রতীকী কাবা তৈরি করে প্রশিক্ষণ দেয়া হারাম।

প্রতীকী কাবা বানানো নাজায়েজ কেন এমন প্রশ্নে মুফতি মিযানুর রহমান বলেন, কাবা ঘরের একটি সম্মান রয়েছে। আমরা সেই ঘরের প্রতীকী বানালে কাবা শরিফের প্রতি মানুষের সম্মান কমে যাওয়ার আশঙ্খা রয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে কতিপয় বেদাতিরা প্রতীকী কাবা বানিয়ে তাওয়াফ করে থাকে এবং তারা বলে এভাবে তাদের হজ আদায় হয়ে যাবে। সেদিকে লক্ষ্য করলেও প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে প্রতীকী কাবা বানানো ফেতনার সৃষ্টি করতে পারে। এ কারণে তা জায়েজ নেই।

এ বিষয়ে ফেসবুকে এইচ এম আবিদ লিখেছেন,  ‘ফাজিলগুলোরে ধইরা পিটানো দরকার।’

আজহার হোসেন লিখেছেন, ‘এই নকল কাবার বিরুদ্ধে সকল মুসলমান ভাইবোনেরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলুন।এইটা একটা সুক্ষ্ম ষড়যন্ত্র বৈকি অন্য কিছু না।’

সৈয়দ আমিনুল ইসলাম লিখেছেন, ‘গত ১৪ শত বছর যাবত সমগ্র পৃথিবী থেকে মানুষ হজ্বে যাচ্ছে, কিন্তু এমন দুঃসাহস কেউ কখনো দেখিয়েছে বলে জানা নেই!’

আসাদ উল্লাহ লিখেছেন, ‘নতুন বেদাত চালু হলো, আল্লাহর লা’নত এসব নব্য বেদাতিদের উপর।’

মো. বেলাল হোসেন লিখেছেন, ‘নতুন করে ফিৎনা আরম্ভ। কিছু দিন পর বলবে তিন লাখ টাকা খরছ করে সৌদিআরব যেতে হবে না, এখানেই হজ্জ করলে চলবে…..! এখন থেকেই তা প্রতিবাদ করা দরকার। না হয় পরে তার ছড়া মূল্য দিতে হবে।’

আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ লিখেছেন, ‘এসব দুঃসাহস রুখে দেয়া দরকার। ভীন্ন বাহানায় এরকম দৃষ্টতা যে দেখিয়ছে তাকে রুখে দেয়া জরুরি।’

মুহাঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন লিখেছেন, ‘ইসলাম ধ্বংশের পরিকল্পণা! তাড়াতাড়ি বন্ধ করুন। পরে আফসোস করতে হবে।
পরে যা হতে পারে : ১. আমাদের এখানে কাবা থাকতে সৌদি যাব কেন? ২. এখানে প্রাকটিস করলেও আস্তে আস্তে অজ্ঞরা এটাকে বাস্তব মনে করবে। ৩. মূর্তি পূজাও এভাবে চালু হয়েছিল।’

মুফতি মোহাম্মদুল্লাহ লিখেছেন, ‘এটার কোন প্রয়োজন ছিল না। ক্বাবা নির্মাণ করে ইসলামের সাথে ফাজলামি হচ্ছে।’

মো. আনোয়ার হোসেন লিখেছেন, ‘আমরা কি নুহ (আঃ) এর কওমের মত পথভ্রষ্টতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি না? যতদুর জানা যায় এভাবেই কিন্তু মুর্তি পূজার সুচনা হয়েছিল। এই ধরনের ইসলামিক পেজে কোন মন্তব্য ছাড়াই এ খবর প্রকাশ করা উচিত হয়েছে বলে মনে হয় না।এতে তাদের ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতাই প্রকাশিত হয়েছে।’ কালের কন্ঠ

পাঠকের মতামত: