বিএনপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙ্গে পড়েছে। পুলিশের আচরণে মানুষ আতঙ্কিত। তারপরও পুলিশ প্রধান বলছেন তাদের দায় পুলিশ বাহিনী নেবে না। তাহলে নির্যাতিত মানুষ কার কাছে যাবেন?
তিনি বলেন, এ সরকার গণতন্ত্র হত্যা করেছে। বাক স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। মিডিয়াকে ন্যাক্কারজনকভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে লিখতে পারছে না। কেউ লিখতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মো. শাহজাহান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক মনির খান, সাবেক এমপি শহিদুজ্জামান বেল্টু, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, বিএনপি নেতা জাহিদুজ্জামান মনা, আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, এ্যাড আব্দুল আলীম প্রমূখ।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। নির্বাচিত নয় এমন সরকারের দুঃশাসনে মানুষের জীবন আজ দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বলছেন তিনি নাকি প্রধান বিচারপতিকেই মানেন না। চরম দলীয়করণের কারণে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। কোন জায়গায় শৃঙ্খলা নেই।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, সরকার কর্তৃত্বপরায়ন হয়ে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করছে। এ থেকে মানুষ পরিত্রাণ চায়, বাঁচতে চায়। এই প্রেক্ষাপটে ঝিনাইদহের জেলা সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ। দেশে ন্যায় পরায়ণ শাসন কায়েম করতে বিএনপিকে আজ সুসংগঠিত করতে হবে।
– See more at: http://www.bd-pratidin.com/country/2016/02/09/126155#sthash.aXGJ0hgJ.dpuf
পাঠকের মতামত: