নিউজ ডেস্ক ::
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন। বুধবার বিকাল পাঁচটা ৫৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইট অবতরণ করে।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফের নেতৃত্বে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
এর আগে দুপুর ২টা ১০মিনিটে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্ট থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয় তাকে বহনকারী বিমান।
মন্ত্রীর সফরসঙ্গী এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ জানান, সেতুমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৮৫ ফ্লাইটটি বাংলাদেশ সময় বুধবার দুপুর দুইটা দশ মিনিটে উড্ডয়ন করে।
ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তার স্ত্রী ইসরাতুন্নেছা কাদের, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক ডা. আবু নাসার রিজভী এবং কিছু সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী রয়েছেন।
ওয়ালিদ জানান, দুই মাস ১০ দিন চিকিৎসার পর আজ দেশে ফিরেছেন সেতুমন্ত্রী। বুধবার সকালে তিনি সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের পাশের ভাড়া বাসা থেকে ত্যাগ করেন।
এরপর তিনি চাঙ্গি বিমানবন্দরে পৌছে সেখানে কিছু সময় অপেক্ষা করেন। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি দুপুর ২টা ১০ মিনিটে রওনা হন।
বাইপাস সার্জারির পর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ওবায়দুল কাদের গত ৫ এপ্রিল ছাড়পত্র পান। তিনি হাসপাতালের কাছেই একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। ২০ মার্চ মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়।
প্রসঙ্গত গত ৩ মার্চ সকালে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের(বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের।
সেখানে এনজিওগ্রাম করার পর তার করোনারি ধমনিতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। সেদিন তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে উপমহাদেশের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠির পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ মার্চ তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়। সেখানে দীর্ঘ দুই মাস তার চিকিৎসা চলে।
পাঠকের মতামত: