ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

দেশে আসছেন তাজ, রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন কি না জানেন না রিমি

shohel-taj-2-550x429অনলাইন ডেস্ক ::

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ ফের রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন। আসন্ন জাতীয় কাউন্সিলে তিনি আওয়ামী লীগের গুরত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পেতে পারেন এমনটাই আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। তবে এই ব্যাপারে তার পরিবারের সদস্যরা এখনও চূড়ান্ত কিছু জানেন না। আবার আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতারাও নিশ্চিত করে কিছু জানেন না। তাই এখনই বলা যাচ্ছে না সোহেল তাজ শেষ পর্যন্ত কি করবেন। তবে আলোচনা আছে। এছাড়াও তার মা জোহরা তাজউদ্দিন মারা যাওয়ার কারণে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের একটি পদ শূণ্য হয়েছে। ওই পদে তাজউদ্দিনের পরিবারের কাউকে বসানো হবে এমনটি কেউ এখনও চূড়ান্ত না করলেও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ওই পরিবারের একজন থাকতে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন এমনই বলা হচ্ছে।
এই ব্যাপারে আওয়ামী লীগের বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, আপনারা একটি স্ট্যাটাস নিয়ে কথা বলছেন। আর কি গুঞ্জন হচ্ছে এনিয়ে কথা বলছেন। অথচ আমাদের দম ফেলানোর মতো সময় নেই। তাই কে কি স্ট্যাটাস দিচ্ছেন সেটা দেখা সম্ভব হচ্ছে না। কে কি স্ট্যাটাস দিলো আর এনিয়ে কে কি পদ পাবে এনিয়ে আমি মনে করি এত আলোচনার কিছু নেই। তিনি কোন পদে দায়িত্ব পাচ্ছেন কিনা এটা আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে সোহেল তাজের বোন সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমির সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, সেতো এখন বেশিরভাগ সময়ই দেশে কাটাচ্ছে। কিছুদিন আগে গেছে। বর্তমানে বিদেশেই আছে। দেশে আসবে বলে শুনেছি। তবে সেটা কাউন্সিলের আগে না পরে সেই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছি না। কারণ সে আমাকে জানায়নি ঠিক কি করবে। কবে ফিরবে। কাউন্সিলের তো বেশি সময় নেই।
তাজ রাজনীতিতে ফের সক্রিয় হচ্ছেন এই ব্যাপারে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ব্যাপারেও কথা বলা হয়নি। আমাকে বললে বলতে পারতাম। কিন্তু এই প্রসঙ্গে কোন কিছুই বলেনি।
তার ফেসবুক স্ট্যাটাসের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফেস বুক স্ট্যাটাস নিয়ে গণমাধ্যমে দেখছি। কিন্তু তার ফেস বুকের পুরো ম্যাসেজ আমি পড়িনি। তাই এই ব্যাপারে আমার পক্ষে নিজ থেকে কিছু বলা কঠিন।
আপনি কি চান? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ব্যাপারে আমরা চাওয়া নয় তার চাওয়াই বড়।
আপনার আম্মা আওয়ামী লীগের প্রেসিডেমিয়ামের সদস্য ছিলেন। তার মৃত্যুতে ওই পদে একটি শূণ্যতা তৈরি হয়েছে। আপনাদের পরিবার থেকে আওয়ামী লীগে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদে কাউকে না কাউকে রাখা হয়েছে। এবারও কেউ না কেউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁইঁ পেতে যাচ্ছেন এই ব্যাপারে সিমিন হোসেন রিমি বলেন, এটা আমি ঠিক বলতে পারবো না। এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন দলের সভাপতি। তিনি কাউকে প্রযোজন মনে করলে তাকে দায়িত্ব দিবেন। সোহেল তাজতো অনেকটা অভিমান নিয়েই রাজনীতি থেকে দূরে সরে গেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরে তার বৈঠকও হয়েছে সেখানে তাকে কি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দেওয়া হবে এমন কোন আশ্বাস ছিলো কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের সম্পর্কতো পারিবারিক সম্পর্ক। এই কারণেই দেখা হয়েছে। তিনি ডেকেছেন। এই জন্য গেছে, দেখা করেছে। তবে ওই সময়ে ওকে কোন পদে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে এমন কোন আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই।
সোহেল তাজ রাজনীতিতে সক্রিয় হলে কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে রাজনীতিতে ছিলো। সাময়িক দূরে রয়েছে। যে কোন সময়ে ফিরতে পারে। তবে আমার সঙ্গে এই ব্যাপারে বিস্তারিত কথা হয়নি বলে বলতে পারছি না।
আপনার সঙ্গে কি তার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ যোগাযোগ রয়েছে।
তাকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হবে বলে গুঞ্জন রয়েছে আপনি কি বলবেন এই গুঞ্জনের ব্যাপারে। তিনি বলেন, এখনই বলতে পারছি না। আপনাদের মতো আমিও শুনেছি। কিন্তু এর সত্যতা একমাত্র দলের সভাপতিই জানেন। তিনি কার ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নিবেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ৩১ মে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান সোহেল তাজ। এর পর ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল তিনি সংসদ সদস্য পদ থেকেও ইস্তফা দেন। এখন আবারও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন। ২২-২৩ অক্টোবর দলের ২০তম কাউন্সিলে যোগ দিতে যাচ্ছেন। ১৪ অক্টোবর তার ফেসবুক পেইজে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে পরামর্শ চেয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। লিখেছেন, রাজনীতির মাধ্যমে জনগণের জন্য কাজ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি আমি। রাজনীতিতে ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করে ২০১২ সাল পর্যন্ত আমি তা চালিয়ে গেছি। দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলাম, পাশাপাশি সামাজিক কর্মকা-েও জড়িত ছিলাম। তবে সব ধরনের কাজের মধ্যে সবচেয়ে তৃপ্তি পেয়েছি সরাসরি সাধারণ মানুষের কল্যাণ করার মাধ্যমে। এ কারণে আমার সময়, শ্রম দিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি। আমারেদর সময়

পাঠকের মতামত: