ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

দুই মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতার বিরুদ্ধে মামলা, সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

ইমাম খাইর ::
কক্সবাজারের পেকুয়ার পূর্ব টৈটং সোনাইছড়িতে জন্মদাতা পিতা শফিকুর রহমান প্রকাশ শফিক বৈদ্যের হাতে দুই কন্যা সন্তান ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভিকটিম দুই মেয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ওসিসিতে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেছে।

এ ঘটনায় কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ মামলা হয়েছে।

ভিকটিমের সতীন (ছোট মা) কাউছারা বেগম (৩৩) বাদি হয়ে মামলাটি করেন। যার মামলা নং -সিপি-১৫৬/২০।

মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে সিআইডিকে নির্দেশ প্রদান করেছে আদালত।

গত ৩১ আগস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর নিজের বাড়ির পাশে সেমি পাকা বৈদ্যালির আসন ঘরে রেখে বৈদ্যালি শেখানোর নামে নির্লজ্জ ঘটনাটি ঘটানো হয় বলে মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়।

অভিযুক্ত শফিকুর রহমান প্রকাশ শফিক বৈদ্য পেকুয়ার পূর্ব টৈটং সোনাইছড়ি রমিজ পাড়ার মৃত নুরুল আনোয়ার প্রকাশ টুনু মিয়ার ছেলে।

বাদীনি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তার স্বামী বৈদ্যালির নামে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। ইতোপূর্বে তার দুইটি স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তাকে জাদুটোনার মাধ্যমে বশে এনে বিয়ে করে। নানা অপকর্মের প্রতিবাদ করলে তাকে বেশ কয়েকবার মারধর করে স্বামী শফিক বৈদ্য।

কাউছারা বেগমের ঔরষে ২ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তান রয়েছে।

তার অভিযোগ, তার স্বামী কুচরিত্রের। তাই দ্বিতীয় স্ত্রী শওকত আরা দুই সন্তানসহ বাঁশখালীতে পালিয়ে যায়। প্রথম স্ত্রীসহ তারা দুইজন অতি কষ্টের মাঝে সাংসারিক দিন পার করছিলেন।

ভিকটিমদ্বয় প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর মেয়ে সন্তান। তারা স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় নবম শ্রেণীতে পড়ে।

তার মতে, স্বামী শফিক বৈদ্য দুশ্চরিত্রের বলেই নিজের দুই মেয়েকে ধর্ষণ করেছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ এবং আদালতে মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাদি ও ভিকটিমদেরকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে অভিযুক্ত শফিক বৈদ্য। তারা এখন ঘরছাড়া।

বিষয়টি জানিয়ে বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ অভিযোগ করেন বাদি বাদি কাউছারা বেগম।

অভিযোগ শুনানী শেষে ডাক্তারি পরীক্ষাসহ সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারক জেবুন্নাহার আয়েশা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এডভোকেট একরামুল হুদা।

তিনি জানান, নিজের ঔরষজাত দুই মেয়ে সন্তানকে বৈদ্যালি শেখানোর কথা বলে ধর্ষণ করেছে পিতা৷ এ ঘটনায় মামলা করেছেন ছোট স্ত্রী কাউছারা বেগম। মামলার পর দুই ভিকটিমসহ নিজের সন্তানদের নিয়ে এলাকাছাড়া তিনি।

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন এডভোকেট একরামুল হুদা।

এ বিষয়েমামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার নুরুল আমিন জানান, আদালতের নির্দেশে তদন্তভার নেয়ার পর তিনি ঘটনাস্থল গিয়েছেন। অনেকের সাথে কথা বলেছেন। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তবে, বিষয়টি জটিল বলেও মন্তব্য করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

 

 

পাঠকের মতামত: