ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ডুলহাজারা ইউপি নির্বাচনে নৌকা পরাজয়ে নৈপথ্যের মুল আ.লীগ নেতাদের বিরোধীতা -আ.লীগ প্রার্থী জামাল হোছাইন

jamal hosain dulএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

২৩এপ্রিল অনুষ্ঠিত চকরিয়া উপজেলার ডুলহাজারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জামাল হোছাইনের পরাজয়ের কারণ দলের (আ.লীগ) নেতাকর্মীদের বিরোধীতার ও মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করার ফলে নৌকার নিশ্চিত জয় হাতছাড়া হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জামাল হোছাইন কি কারনে নির্বাচনে তার পরাজয় হয়েছে এব্যাপারে সাংবাদিকদের কাছে মুখ খুলেছেন তিনি।

জামাল হোছাইন অভিযোগ করেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ও উপজেলা আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হলে দলীয় প্রার্থী (নৌকা) প্রতীকের পক্ষে নামে মাত্র কাজ করলেও, তারা গৌপনে ও প্রকাশ্যে জাতীয় পার্টি সমর্থিত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আমিনের পক্ষে কাজ করে। নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে গিয়ে লাঙ্গল প্রতীকের জন্য ভোট প্রার্থণা করে সাধারণ জনগণকে প্রভাহিত করে। ফলে নৌকার নিশ্চিত বিজয় অন্য দলের প্রার্থীর ঘরে চলে যায়। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ চরম হতাশা প্রকাশ করছেন। এতে দলের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন হয়।

তিনি অভিযোগ করেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোক্তার আহমদ চৌধুরী ও যুগ্ম সম্পাদক শাহনেওয়াজ তালুকদার দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হলে নৌকার বিরুদ্ধে হয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুরুল আমিনের পক্ষে প্রকাশ্যে মাঠে-ময়দানে কাজ করে এবং লাঙ্গল প্রতীকের জন্য ভোট প্রার্থনা করে। এছাড়াও ডুলহাজারা ইউনিয়ন আওয়অমীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. আজিজুল মান্নান দলের মনোনীত নৌকা প্রার্থীর পক্ষে কাজ না বিএনপির নেতা মেম্বার প্রার্থী আব্দু রহিমের পক্ষে কাজ করে। এদিকে নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল এহেসান চৌধুরী সাইফুলও নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে কাজ করে। পরে তা জানতে পেরে তাকে নগদ ৭০হাজার দিয়ে কর্মী ঠিক করার জন্য দায়িত্ব দিয়। তারপরও সে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামেনি। এছাড়াও নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর আপন ভাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মনছুর আলমও প্রকাশ্যে নৌকার বিরুদ্ধে মাঠে কাজ করে।

অভিযোগে তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুস্তম গণি মাহমুদ, ইউনিয়ণ আ.লীগৈর সাবেক সাধারন সম্পাদক ডা. ফরিদুল আলম, ৫নং ওয়ার্ড আ.লীগৈর সভাপতি মনছুর আলম, সম্পাদক আবুল কালাম, ৬নং ওয়ার্ঢের সভাপতি মাষ্টার সরওয়ার , সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি সামসুল আলম, সম্পাদক হুমায়ন কবির, ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি নুরুল আবছার, সম্পাদক মিন্টু কুতুবী, উপজেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম সম্পাদক ফাকরু উমর ফারুক, নুরুল আবছার মেম্বার, ইউনিয়ন আ.লীগের সদস্য আবদুল খালেদ, ১নং ওয়ার্ডের নুরুচ্ছাফা, ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর আলম, ছাত্রলীগের মানিক (১নং ওয়ার্ড), ১নং ওয়ার্ডের রফিক, ৯নং ওয়ার্ডের জসিমসহ আরো অনেক নেতাকর্মী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর সাথে গৌপনে আতাঁত করে নৌকার নিশ্চিত বিজয় কেড়ে নেয়।

তিনি আক্ষেপ করে অভিযোগ করেন, আমি নির্বাচনী শেষ জনসভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদককে বিশেষ অতিথি করলেও তিনি আসেননি। পরে জানতে পারি লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী তার নিকট আত্মীয়। এছাড়াও আমার নিজ এলাকার জনপ্রিয় ব্যক্তি কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সস্পাদক রেজাউল করিমও নৌকার পক্ষে কোন প্রকার কাজ করেনি।

নৌকার মনোনীত প্রার্থী জামাল হোছাইন বলেন, ডুলহাজারায় মনোনয়ন পাওয়ার পর নৌকা প্রতীক নিয়ে এলাকায় আসলে নৌকার গণজোয়ার নামে। পরে আওয়ামীলীগ নেতাদের বিরোধীতার কারণে নৌকার নিশ্চিত জয় হাতছাড়া হয়ে যায়। এছাড়াও উপজেলা আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চকরিয়া-পেকুয়ার মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা আলহাজ্ব জাফর আলম এমএ উপজেলার বাকী ১টি ইউনিয়নের মতো আমার ডুলহাজারায় দিনরাত পরিশ্রম করে নৌকার গণজোয়ার সৃষ্টি করেন। তা কতিপয় সুবিধাভোগী আওয়ামীলীগ নেতাদের কারণে নৌকার পরাজয় হয়েছে। যদি আওয়ামীলীগের নেতারা বিরোধীতা না করত তাহলে ডুলহাজারায় নৌকা বিপুল ভোটে জয়ী হতাম। #

পাঠকের মতামত: