ঢাকা,রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

টেকনাফ পৌরসভায় আগাম হাওয়া, প্রার্থীদের অনানুষ্ঠানিক প্রচারণা

টেকনাফ প্রতিনিধি :: পৌর নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণার পরপরই টেকনাফ পৌরসভায় বইতে শুরু করেছে আগাম নির্বাচনী হাওয়া। ইতোমধ্যেই প্রচারণায় তৎপর হয়ে উঠেছেন সম্ভাব্য মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীরা। জানা গেছে, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামি আন্দোলনসহ বিভিন্ন দলের একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। এছাড়া মাঠে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও। তারা পথে-ঘাটে, বাড়ি-বাড়ি গিয়ে কুশল বিনিময় করছেন। যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে। অপরদিকে চায়ের দোকানে চলছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
পৌরবাসী জানান, সম্ভাব্য প্রার্থীরা কারোনাকালে স্থানীয় লোকজনের সেবার মাধ্যমে নিজেদের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। তাদের তৎপরতা দেখে মনে হয় কদিন পরেই ভোট। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বেশ সরগরম পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজার ও রাজনৈতিক কার্যালয়গুলো। সম্ভাব্য প্রার্থীরা শুনাচ্ছেন উন্নয়নমুখী নানা আশ্বাস। এদিকে দলীয় সমর্থন পেতে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের প্রভাবশালী নেতাদের সমর্থন আদায়ে লবিং শুরু করেছেন মনোয়নপ্রত্যাশীরা। মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, কাজেই ভোটযুদ্ধে নামার আগে শুরু হয়েছে দলীয় মনোনয়ন লাভের লড়াই। জানা গেছে, পৌর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা এবার দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। মনোনয়ন না পেলে তাদের অনেকে নির্বাচন থেকে সরে যাবেন। এর মধ্যে কয়েকজন বিদ্রোহী প্রার্থীও হতে পারেন।
গত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে জয়যুক্ত হন বর্তমান মেয়র হাজী মো. ইসলাম। সেবার ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলেও বিএনপি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে কয়েকজন ভোটে অংশ নেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে শতাধিক প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, বর্তমান মেয়র হাজী মো. ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী নুরুল বশর, সাবেক পৌর প্রশাসক এসএম ফারুক বাবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাংবাদিক জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, বর্তমান প্যানেল মেয়র-১ মাওলানা মুজিবুর রহমান, বিএনপি নেতা হাসান আহমদ, জামায়াত নেতা মো. ইসমাইল, সাইফ উদ্দিন খালেদ, পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক ও জাতীয় পার্টির উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম হেলালী।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার এক বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব বলেন, আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ২৫০টির বেশি পৌরসভায় শুরু হবে ভোটগ্রহণ। প্রথম ধাপে কয়েকটি পৌরসভায় ইভিএম ব্যবহার করা হবে বলে জানান তিনি। ২০১৬ সালের ২৫ মে টেকনাফ পৌরসভার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। শপথ গ্রহণ হয় জুন মাসে। এই হিসাবে আগামী বছর টেকনাফ পৌরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। পৌর আইন অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে টেকনাফ পৌর নির্বাচনের আরো অনেক মাস বাকি থাকলেও ইসি সচিবের বক্তব্যে এলাকায় শুরু হয়ে যায় আগাম নির্বাচনী প্রচারণা।

পাঠকের মতামত: