হানিফ বলেন, ‘রাজধানী গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে পুরোহিত এবং ধর্ম যাজকসহ সব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের প্রায় প্রত্যেকেই  জামায়াতের সহযোগী সংগঠন ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মী।

ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলাম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম দিয়ে দেশে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, দেশে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে জামায়াতে ইসলাম এখন আদালতের কাঠগড়ায়। জামায়াত ইসলামের শীর্ষপর্যায়ের অনেক নেতা যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে বিচারের রায়ে দণ্ড ভোগ করেছেন। আরো অনেক  শীর্ষনেতার মামলা এখনো বিচারধীন।

তাদের বিচার শেষ হওয়ার পর পরই যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়তে ইসলামের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নিয়ে গোটাবিশ্ব শঙ্কিত। মুসলমান হিসেবে আমরা লজ্জিত ও দুঃখিত। মুসলমানদের দিয়ে মুসলমানদের ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে। হত্যার দায়ভার মুসলিমদের ওপর চাপানো হচ্ছে।

কর্মশালায় তিনি জামায়াত-শিবিরের জঙ্গি তৎপরতা বন্ধ করতে আলেম সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজমুল হকের সভাপতিত্বে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মো. হারুন অর রশিদ প্রমুখ।

ইসলামী ফাউন্ডেশন বাগেরহাট আয়োজিত কর্মশালায় জেলার নয়টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মসজিদের ছয় শতাধিক খতিব, ইমাম ও শিক্ষক অংশ নেন।