ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

জাতীয় শোক দিবসে কক্সবাজারে ১৭৮ কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সেবা

কক্সবাজার প্রতিনিধি ::
শনিবার সরকারি তালিকায় ‘ছুটির দিন’ হলেও জাতীয় শোক দিবস পড়ায় খোলা ছিল কক্সবাজার জেলার ১৭৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক।
জেলার অধিকাংশ এলাকায় শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে স্বাস্থ্য সেবায় খানিকটা ব্যাঘাত ঘটলেও সেবা পেয়েছে রোগীরা। তবে, অন্যান্য দিনের তুলনায় রোগির উপস্থিতির পরিমাণ ছিল কম। তবু সরকারি সেবা পেয়ে খুশি গ্রামীণ জনপদের মানুষগুলো।
জাতীয় শোক দিবসে কক্সবাজার জেলার ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হয়েছে। কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে, কক্সবাজার জেলায় বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক (সিসি) সংখ্যা ১৭৮টি। যেখানে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) রয়েছেন ১৭৮ জন। এছাড়া আরও কিছু সিসি নির্মাণাধীন রয়েছে।
সরকারিভাবে চালুকৃত এসব ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিকে সকল প্রকার প্রাথমিক চিকিৎসা পাওয়া যায়। জটিল রোগি হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেফার করা হয়। এখানে গর্ভবতী মায়েদের এএনসি এবং গর্ভউত্তরদের পিএনসিসহ সকল সেবা বিনামূল্যে দেওয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নে তিনটি ক্লিনিক রয়েছে। তার মধ্যে সোনার পাড়ায় একটি। এই কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি হিসাবে রয়েছেন আবদুল হামিদ।
১৫ আগস্ট সকাল সকাল থেকে রোগিদের স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও সেবা দিতে দেখা গেছে হামিদকে।
জাফর আলম ও আফরোজা খানম মিনু নামের আরো দুইজন এই কমিউনিটি ক্লিনিকে শিফটভেদে দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল হামিদ বলেন, সাধারণত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত সরকারি সেবা দেয়া হয়। বিশেষ দিবস হিসেবে আজকে ১৫ আগস্ট বেলা ১টা পর্যন্ত মোট ২৪ জন রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। সেখানে সাধারণ ২০ জন, শিশু ৩ জন, পরিবার পরিকল্পনা রোগি ১ জন।
বর্তমানে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থবিধি মেনে চলা উপর বিশেষ স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান করা হয় বলেও জানান আবদুল হামিদ।
একইভাবে সকাল থেকে কক্সবাজার সদরের ইসলামপুরের ১ নং ওয়ার্ডের বাঁশকাটা কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শ দিয়েছেন শওকত আলম। এভাবে জেলার সবগুলো কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা অব্যাহত ছিল।
স্বাস্থ্যেসবা ছাড়াও শোক দিবসের কর্মসূচি হিসেবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালোব্যাজ ধারণ, শোক র‌্যালী ও দোয়া মাহফিলও পালিত হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানে।

পাঠকের মতামত: