প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার কারণে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ রবিবার বেলা সোয়া ১১টায় নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত ৮ নভেম্বরের সমাবেশের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সরকার ন্যাক্কারজনক খেলায় মেতে উঠেছে। ইতিপূর্বে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পুলিশ প্রশাসন যে অজুহাত উত্থাপন করে সমাবেশ অনুষ্ঠান বানচাল করেছে তা কেবলমাত্র অনাচারমূলক রাষ্ট্রেই সম্ভব হয়।
রিজভী বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি কেন দেওয়া হয়নি সেটি কারো জানতে বাকি নেই। তারপরও পুলিশের বক্তব্য মেনে নিয়ে আমরা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছি। এটি নিয়েও পুলিশ প্রশাসনের বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা দেশবাসীকে হতবাক করেছে। বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করার নিষ্ঠুর যন্ত্রে পরিণত করতে দিয়ে পুলিশের ভাবমূর্তি এখন অলক্ষ্য কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে নিক্ষেপিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা অবৈধভাবে দখলকারী কায়েমি স্বার্থবাদী শাসকগোষ্ঠীর হাতিয়ারে পরিণত না হয়ে দেশের আইনসম্মত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে পুলিশ-র্যাব ও জনপ্রশাসনের কাজ করা উচিত। বিরোধী দলের প্রতি সরকারের অনড়তা, একগুঁয়েমি ও বৈরিতা সমর্থনকারী অনুগত বাহিনী হিসেবে পরিচিতি লাভ করা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত পুলিশ, র্যাব তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা এখনও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি- স্বার্থান্ধতা, ঔদ্ধত্য ও অহিষ্ণুতার ছায়াকে প্রলম্বিত না করে গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথচলা এগিয়ে নিতে আগামী ৮ নভেম্বর বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে জনসভা করার অনুমতি পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বাধ্যবাধকতা থাকবে, মতান্তর, মনান্তর থাকবে, কুটনীতিও থাকতে পারে, কিন্তু তাই বলে দানবীয় শক্তি প্রয়োগ করে বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক অধিকারকে দমন করলে সেটি কখনোই গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সমাজভূমি নির্মাণ করবে না।
পাঠকের মতামত: