নিজস্ব প্রতিবেদক :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় পিকআপভ্যানচাপায় ৬ ভাই নিহতের ঘটনায় পরিবারকে কেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট রুলসহ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে ওই দুর্ঘটনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার কী পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তা নিরুপণ করে ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরীন ও আইনজীবী শাহীনুজ্জামান। আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ লিগ্যল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উজ্জ্বল পাল ও জাহিদ হোসেন দোলন এ রিট করেন।
স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ), বিআরটিএর ট্রাস্টি বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট ১১ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন সুরেশ চন্দ্র সুশীল। বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে এসে একটি পিকআপভ্যান চাপায় ৯ ভাইবোনের মধ্যে ৫ ভাইয়ের মৃত্যু হয়। ৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে মালুমঘাট চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মৃত সুশীলের পাঁচ ছেলে অনুপম সুশীল (৪৬), নিরুপম সুশীল (৪০), দীপক সুশীল (৩৫), চম্পক সুশীল (৩০) ও স্মরণ সুশীল (২৯) নিহত হয়। আহত হন আরও তিন ভাইবোন। এ দুর্ঘটনার ১৪ দিন পর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুশীলের আরেক ছেলে রক্তিম সুশীল মারা যান।
এ ঘটনায় ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে পিকআপ ভ্যানের চালক সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না বলে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়। বিআরটিএ, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এবং হাইওয়ে পুলিশের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বেপরোয়া গতি ও কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় তদন্ত কমিটি।
পাঠকের মতামত: