স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় সাংবাদিকের সামাজিক বনায়ন থেকে লুট করা ৪৬ টি গাছের একটিও উদ্ধার হয়নি ৪দিনেও। গ্রেফতার হয়নি অভিযুক্ত কেউই। গাছ কাটা ও আগুন দেয়া ছাড়াও আগর বাগান দখল চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে কোন আইনী ব্যবস্থা নেয়নি বনবিভাগ।
রবিবার (২২ জানুয়ারি) রাতে পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারি বেশ ক’জন বনদস্যু কবরস্থান বানানোর প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে আগরসহ ৪৬টি গাছ কেটে লুট করে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় সহস্রাধিক চারাগাছ। তাদের অপকর্মে বাধা হয়ে দাড়ালে উপকার ভোগী সাংবাদিকসহ তার পরিবার সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় উপকারভোগী ও চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এম জাহেদ চৌধুরী গত (২৪ জানুয়ারি) চকরিয়া থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত আরো ৩০ জনকে অভিযুক্ত দেখিয়ে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনাটি বনবিভাগের বিভিন্ন দপ্তরকেও অবহিত করেন। মামলার আগে ও পরে পুলিশ কয়েক দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শক করেন। আসামি ধরার চেষ্টা করলেও দূর্গম ও পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় কাউকে এখনো ধরা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মজিবুর রহমান।
অন্যদিকে, ক্ষতিগ্রস্থ বাদী প্রেসক্লাব সভাপতি জাহেদ চৌধুরী ঘটনাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় বনসংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাসকে লিখিতভাবে অবহিত করলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে জরুরী ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগীয় কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। কিন্তু কাকারা বিট কর্তৃপক্ষ বাগানে গিয়ে কেটে ফেলা গাছের গোড়ালি (মোথা) গণনা করেই চুপ করে আছেন। বিট, রেঞ্জ কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত আইনগত কোন ব্যবস্থা নেয়নি। লুট করা গাছ উদ্ধারেও কোন উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ করেন সাংবাদিক নেতা জাহেদ চৌধুরী।
এব্যাপারে কাকারা বনবিট কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকেও কয়েকদিনের মধ্যেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপকারভোগীদের সহযোগীতায় লুট করা গাছ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’
ঘটনার ব্যাপারে কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ইদানিং চুরি ডাকাতি বেড়ে গেছে। আমি সবসময় ন্যায়ের পক্ষে। চুরি ডাকাতি দমন করতে যা প্রয়োজন তাই করবো। বাগানে গাছ কাটায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবো।
পাঠকের মতামত: