নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ার ভেওলা মানিকচর উচ্চ বিদ্যালয়ের সরকারি বই বিক্রয়ের পর পাচারকালে দুই শিক্ষকসহ ৫ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় বইসহ দুটি মিনি ট্রাক জব্দ করা হয়।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাতে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যান। তবে, (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পুলিশ ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তাদেরকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির হাতে তুলে দেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে দুই শিক্ষক হলেন, বিএমচর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক রুকন উদ্দিন ও কামাল উদ্দিন। অপর তিনজনের মধ্যে বইগুলোর ক্রেতা চোঁয়ারফাঁড়ি এলাকার কামাল উদ্দিনের ছেলে তমিজ উদ্দিন ও দু’জন গাড়ি চালক।
জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে চকরিয়ার ভেওলা মানিকচর উচ্চ বিদ্যালয়ের সরকারি বইগুলো কয়েকজন মিলে মিনি ট্রাকে তুলতে দেখেন গ্রাম পুলিশের সদস্য কফিল উদ্দিন। তিনি বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানান। পরে পুলিশ এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যান।
এ বিষয়ে বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে গ্রাম পুলিশের সদস্য কফিল উদ্দিন বিদ্যালয় থেকে দুটি গাড়িতে করে বই নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানালে আমি পুলিশকে ঘটনাটি জানাই। পরে পুলিশ এসে গাড়ি ও বইগুলো জব্দ করে স্কুল শিক্ষকসহ ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।’
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। ঘটনার সত্যতা যাচাই-বাছাই করার দাবি উঠায় বইসহ আটককৃতদের বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু শামা ঘটনাটির সাথে সম্পৃক্ত নয় দাবি করে বলেন, ‘নাইটগার্ডের যোগসাজশে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এখানে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।’
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বই চুরির পর পাচারের সময় আটকের ঘটনাটি শুনেছি। লিখিতভাবে কেউ জানায়নি। ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশকে জানিয়েছি।’
ঘটনার ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, ‘সরকারি বইসহ ৫ জনকে আটক করে থানায় আনা হয়। পরে যাচাই-বাছাইয়ের কথা বলে একজন নিজের জিম্মায় নিয়ে গেছেন।’
পাঠকের মতামত: